শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ফ্রিল্যান্সিং-এ সব মাসে সমান আয় হয় না

যাযাদি ডেস্ক
  ০৪ মে ২০২৪, ২১:৩২
প্রতীকি ছবি

বর্তমান সময় হচ্ছে প্রযুক্তির। সব কিছু প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। আর এই প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করছে সব প্রতিষ্ঠান। আপনি প্রযুক্তিতে যত দক্ষতা অর্জন করবেন ততটায় সফলতা পাবেন। আসুন আজ জেনে নিন ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ।

জানা যায়, ফ্রিল্যান্সিং হল একটি কাজ করার ধরন, যেখানে আপনি স্বাধীনভাবে একটি প্রকল্প বা কাজে আপনার দক্ষতা ব্যবহার করে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনি নিজের সময় নির্ধারণ করে কাজ করতে পারেন, এবং নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করে প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি অবমুক্তভাবে করতে পারেন । ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে একটি নিজস্ব ব্যবসা থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়, অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীনতা প্রাপ্তির সুযোগ হিসাবে দেখেন

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব?( How to start Freelancing)

আজ, ইন্টারনেট এবং এর ব্যবহার প্রায় সব জায়গায় হচ্ছে বলে আমি ভাবি । এবং, freelancing এর কাজ করার জন্য, সবচে প্রথম জিনিস যেটা আপনার লাগবে, সেটা হলো “ Internet “. কারণ, নিজের জন্য কাজ খোঁজার থেকে আরম্ভ করে, কাজটি তৈরি করে আপনার ক্লায়েন্ট(customer) কে জমা দেয়া, সবটাই ইন্টারনেটের মাধ্যমেই বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলিতে গিয়ে, আপনার করতে হবে ।

তাছাড়া, এই মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য আপনার প্রচুর নতুন নতুন কাজ বা প্রজেক্টস( systems) এর প্রয়োজন হবে । তার জন্য আপনাকে, নিজের কাজ বা দক্ষতার( chops) প্রচার বা মার্কেটিং ইন্টারনেটের দ্বারা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম( platform) গুলিতে গিয়ে করতে হবে । যেমন, social media websites, social media groups, freelancing business আরো অনেক ।

নিজের দক্ষতা( chops) প্রচার বা মার্কেটিং করলে, লোকেরা জানতে পারবেন যে আপনি কোন কাজের বিশেষজ্ঞ বা এক্সপার্ট এবং কোন কাজ আপনি তাদের জন্য করতে পারবেন । এতে, ভবিষ্যতে আপনার দক্ষতার( chops) সাথে জড়িত বিভিন্ন design বা কাজ অনলাইন পেয়ে যাওয়ার সুযোগও বেড়ে যাবে । উদাহরণ স্বরূপে, আমি blogging এবংSEO করতে এক্সপার্ট । এক্ষেত্রে, আমি যদি লোকেদের আমার দক্ষতার( chops) বা নলেজের ব্যাপারে না জানাই, তাহলে তারা জানবেন কিভাবে যে আমি তাদের জন্য SEO এর সাথে জড়িত কাজ গুলি করে দিতে পারবো । ফ্রিল্যান্সিং এর ক্যারিয়ার শুরু করার সাথে সাথে, নিজের কাজের নলেজ, অভিজ্ঞতা, দক্ষতার অনলাইন প্রচার বা মার্কেটিং করাটা অনেক জরুরি । মনে রাখবেন, অনলাইন যেকোনো মাধ্যমে যখন লোকেরা আপনাকে কোনো কাজ বা design দিবেন, তখন তারা আপনার ওপরে অনেক ভরসা করেই সেই কাজটি দিবেন । তাই, আপনার কাজের ভালো নাম, কাজের অভিজ্ঞতা, ভালো দক্ষতা এগুলি হবে আপনার ব্র্যান্ড( brand) বা নামের পরিচয় । এবং, আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে, একটি ভালো ব্র্যান্ড বা নাম তৈরি করতে পারলেই, অধিক লোকেরা সহজে আপনার ওপরে ভরসা করে কাজ বা প্রজেক্ট দিবেন ।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার কিছু ধাপ

আগে জানা উচিত কোথায় কোথায় ফিল্ড আছে তারপর দেখুন আপনার এখন যে স্কিল এবং ইন্টারেস্ট; সেটার সাথে কোন ফিল্ড মিলে যায় ।বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ঐ ফিল্ডগুলোর এখন পোস্ট করা জবগুলো ঘেঁটে দেখুন, বুঝার চেষ্টা করুন এ ধরণের কাজে কী কী স্কিল লাগে। স্কিল বাছাই করে ওই স্কিল শেখার চেষ্টা করুন, অনলাইনেই শেখা যায় ধৈর্য থাকলে। কারও কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন এই সময়ে এসে, স্কিল্ড হওয়ার পর পরামর্শ নিন কীভাবে ফিল্ডে নামা যায় । প্রথমেই ‘ ভাই, ইনকাম করার সহজ পথ বলেন ’ বলে কাউকে ইরিটেট করবেন না । যে কাজে আপনাকে এক্সেপ্ট করেনি, সে কাজ নিজেই করুন, সেম্পল প্রজেক্ট হিসেবে প্র্যাক্টিসও হবে, পোর্টফোলিও হবে ।

মার্কেটপ্লেসে কীভাবে কাজ পাবেন? ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার একটি বায়োডাটা বা প্রোফাইল প্রয়োজন । আপনার প্রোফাইলটিকে এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে আপনি যখন বিড করবেন, তখন ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল দেখেই আকৃষ্ট হয় । একটা প্রোফাইল বানাতে হলে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে:

আপনার ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইলে ঢুকেই সর্বপ্রথম যা চোখে পরে তা হচ্ছে আপনার ছবি । প্রোফাইল পিকচার হিসেবে ফরমাল ছবি ব্যবহার করবেন । আপনার স্কিল অনুযায়ী ডেসক্রিপশন লিখবেন । আপনি যে বিষয়ে এক্সপার্ট, সে বিষয়টি নিয়ে দুই- একটা কাজ সেখানে রাখতে হবে ।

Upwork, Freelancer.com এর মতো জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং স্কিল মেজারমেন্ট নামে একটা পরীক্ষা দেয়া যায় । এগুলোতে অংশগ্রহণ করলে সেটি প্রোফাইলের জন্যে মন্দ হবে না কিন্ত! আপনি কী রকম ঘন্টা প্রতি রেটে কাজ করতে আগ্রহী তার একটি সাধারণ ধারণা ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইলে দেয়া ঘন্টাপ্রতি রেট থেকে পায় । এটা ভেবেচিন্তে লিখবেন । একাউন্ট খোলার সময় কোন ফেক তথ্য দিবেন না । আপনার একাউন্টের নাম, এনআইডি এবং ব্যাংক একাউন্ট সব জায়গায় নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি একই হতে হবে ।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা

সময়ের স্বাধীনতা

কাজের স্বাধীনতা

নিজের বেতন নিজে ঠিক করা

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করা সুযোগ

দলগত কাজের সুযোগ

পড়ালেখার পাশাপাশি কাজের সুযোগ

নিজের মন মতো কাজের পরিবেশ

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর অসুবিধা

সব মাসে সমান উপার্জন হয় না

অতিরিক্ত কাজের কারণে শারীরিক সমস্যা

আপনাকে ক্রমাগত আপনার দক্ষতা উন্নত করতে হবে

বাইরে তেমন বের না হওয়ার কারনে রোদের স্পর্শ পায় না তেমন এই পেশার লোকজন। সেক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর অভাব হওয়াটা ব্যতিক্রম কিছু না।

এই ছিল মূলত ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) ও আউটসোর্সিং (Outsourcing) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। প্রত্যেকটা জিনিসেরই ভালো মন্দ উভয় দিক থাকে। এক্ষেত্রেও ভালো মন্দ উভয় দিক বিদ্যমান যা আমরা আলোচনা করেছি বিস্তারিতভাবে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে