শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চীন-পাকিস্তান বলয়ে আফগানিস্তান, ক্ষুদ্ধ ভারত

যাযাদি ডেস্ক
  ০৮ মে ২০২৩, ০৯:০১
চীন-পাকিস্তানের বিআরআই প্রকল্পের অংশ আফগানিস্তানও, বাড়ছে চাপ নয়াদিল্লির ওপর - ছবি : সংগৃহীত

চীন-পাকিস্তান ও ভারত এই তিন দেশ আফগানিস্তানকে নিজেদের পক্ষে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টার করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন। তবে এবার চূড়ান্ত ফল পেল চীন। মানে পুরোপুরি চীনের পক্ষে ঝুঁকে পড়েছে আফগানিস্তান। সঙ্গে পাকিস্তানও । মধ্যপ্রাচ্যের পর এবার এশিয়ায় চমক দেখালো চীন। এতে প্রতিবেশী দেশ ভারত চরম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

এদিকে তালেবানশাসিত আফগানিস্তানে বিপুল বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছে চীন। আর এই কারণেই বর্তমান আফগান সরকার অন্য দিশের তুলনায় চীনের পক্ষে গেলো। আর এতে সমর্থন রয়েছে পাকিস্তানের।

পাকিস্তানের পর এবার আফগানিস্তানও অংশ হতে চলেছে বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের। পাকিস্তানর রাজধানী ইসলামাবাদে বসে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গং। তাদের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মৌলবি আমির খান মুত্তাকি। পাকিস্তান সরকারও স্বাগত জানিয়েছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে রয়েছে ইরানও।

জানা যায়, বেল্ট অ্যান্ড রোড বা বিআরআই প্রকল্প হলো পুরনো সিল্ক রুটের আদলে তৈরি হওয়া এশিয়া থেকে ইউরোপ-আফ্রিকা পর্যন্ত বাণিজ্য পথ। নতুন করে এটি পুনরজ্জীবিত করতে চাইছে চীন। বরাবর এই প্রকল্পের বিরোধীতা করে আসছে ভারত।

এই রুটের একটা অংশ পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মিরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে ভারত বেশ উদ্বিগ্ন। তবে এবার নয়াদিল্লির উপর চাপ বাড়িয়ে পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে তৈরি হচ্ছে বেল্ট অ্যান্ড রোড। এবার সেই প্রকল্পের অংশ হচ্ছে আফগানিস্তানও। স্বাভাবিকভাবে এটি নয়াদিল্লির চিন্তা বাড়াবে বলেই মনে করছে ভারতের ওয়াকিবহাল মহল।

শনিবার ইসলামাবাদে ছিলেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গং। উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। হাজির ছিলেন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মৌলবি আমির খান মুত্তাকি। সেখানেই মানবিকতার খাতিরে পাকিস্তান ও চীন, আফগানিস্তানকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয়।

যৌথ বিবৃতি দিয়ে পাকিস্তান-চীনের তরফে জানানো হয়, 'চীন ও পাকিস্তান একমত যে মানবিকতার খাতিরে আফগানিস্তানকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করা হবে। তারই অঙ্গ হলো সিপিইসির সম্প্রসারণ।'

এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে আফগানিস্তান। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে ঋণগ্রস্ত আফগানিস্তানের কিছুটা অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা।সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে