চীনের পেটের ভেতর তাইওয়ান। তাইওয়ানকে চীন চীনের অংশ মনে করে। বিশ্বের অনেক দেশ চীনের পক্ষে। কিন্তু মর্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে স্বাধীনতার জন্য উৎসাহিত করে। আর এই জন্যই সৃষ্টি হয় সামরিক উত্তেজনা। সাম্প্রতিক সময়ের সব চেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। আর এই লক্ষ্য হলো তাইওয়ানকে সতর্ক করা। তাইওয়ানের চারপাশ ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া...
জানা যায়, তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিজেদের শাসিত দ্বীপকে ঘিরে এই মহড়া দেয়া হচ্ছে। খবর আল জাজিরা
গত সোমবার তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন উইলিয়াম লাই চিং তে। এরপরই তিনি তার বক্তব্যে চীনকে ভয়ভীতি এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ প্রয়োগ বন্ধে আহ্বান জানান। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের দ্বীপ বলে দাবি করে।
এদিকে বেইজিং তাইওয়ানকে একীভূত করতে চাপ প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেনি। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে লাই শপথ গ্রহণের দিন চীন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এবং তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করে।
এদিকে শপথ গ্রহণের পর উইলিয়াম লাই চিং তে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেন, তাইওয়ান একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র। এদেশের মানুষও স্বাধীনতার পক্ষে। তাই আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র রক্ষায় কোনো ধরনের ছাড় দেব না।
লাই চিং এ কথা বলার একদিন পই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং ই এর নিন্দা জানান। আজ বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া ওই সামরিক মহড়ায় একাধিক বিষয়কে সামনে রেখে কাজ করবে চীনের সামরিক বাহিনী। তবে কতদিন সামরিক মহড়া চলবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
যাযাদি/ এস