শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এক হাজার বন্দি বিনিময়ে সম্মত রাশিয়া-ইউক্রেন

যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ মে ২০২৫, ১৩:১৪
এক হাজার বন্দি বিনিময়ে সম্মত রাশিয়া-ইউক্রেন
শুক্রবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: রয়টার্স

তিন বছরের বেশি সময় পর ইস্তাম্বুলে সরাসরি বৈঠকে বসেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এই আলোচনায় দুই পক্ষই এক হাজার যুদ্ধবন্দিকে একে অপরের কাছে হস্তান্তর করতে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ যুদ্ধবিরতির রূপরেখা নিয়ে লিখিত প্রস্তাব আদান-প্রদানের পর আলোচনা ফের শুরু করার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের প্রধান ভ্লাদিমির মেদিনস্কি শুক্রবার রাষ্ট্রীয় টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা আলোচনার অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ১ হাজারের বিপরীতে ১ হাজার বন্দি বিনিময় হবে।

1

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়া ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর এটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়ের একটি।

মেদিনস্কি বলেন, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সরাসরি বৈঠকের প্রস্তাব এসেছে। তিনি জানান, রাশিয়া সেই প্রস্তাব নোট করে রেখেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তুরস্কে সরাসরি বৈঠকের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। যদিও বৈঠকের প্রস্তাব রাশিয়ার পক্ষ থেকেই আগে এসেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুতিন নিজে না এসে মাঝারি স্তরের একটি অভিজ্ঞ প্রতিনিধি দল পাঠান। যদিও বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার, শেষ পর্যন্ত তা অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত বন্ধে একটি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেন এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে ধীরে ধীরে অগ্রসরমান রাশিয়া আশঙ্কা করছে, এই বিরতির সুযোগে ইউক্রেন সেনা ও অস্ত্রশক্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা করতে পারে। তাই মস্কোর দাবি, যুদ্ধবিরতির আগে তার শর্তাবলি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে।

মেদিনস্কি বলেন, দুই পক্ষই লিখিত আকারে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ রূপরেখা তুলে ধরবে। এর পরই আলোচনার পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।

পরে এক সাক্ষাৎকারে মেদিনস্কি বলেন, ইতিহাসে দেখা গেছে—যুদ্ধবিরতির আগেই অনেক সময় শান্তি আলোচনা শুরু হয়। কোরিয়া ও ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালেও আলোচনা চলেছে।

তার কথায়, নেপোলিয়নের কথাই সত্য—যুদ্ধ ও আলোচনা সবসময় একসঙ্গেই চলে।

এর আগে শুক্রবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, রুশ ও মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে একটি সরাসরি বৈঠক জরুরি হয়ে পড়েছে ইউক্রেনসহ অন্যান্য ইস্যুতে অগ্রগতির জন্য। তবে সেই বৈঠকের আগে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি এবং ফলপ্রসূ হওয়ার নিশ্চয়তা থাকতে হবে।

ট্রাম্প জানুয়ারিতে আবার হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত পুতিনের সঙ্গে তার সরাসরি সাক্ষাৎ হয়নি। যদিও দুজনই মুখে মুখে বৈঠকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং টেলিফোনে কথা বলেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে