বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান-চীন ঐক্যবদ্ধ

যাযাদি ডেস্ক
  ২১ মে ২০২৫, ১৪:২১
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান-চীন ঐক্যবদ্ধ
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে চীন।

কাশ্মীর ইস্যু ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ের এই অবস্থান কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। চীনের এই ঘোষণার পর ভারত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

1

এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য ডন।

বেইজিংয়ে সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।

তিনি পাকিস্তানকে আয়রন-ক্ল্যাড বন্ধু হিসেবে অভিহিত করে দুই দেশের ‘সব-মৌসুমী কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব’ আরও গভীর করার আশ্বাস দেন।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসহাক দার চীনের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে জানানো হয়, উভয় দেশের মধ্যে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে।

তারা দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি, পাকিস্তান-চীন বন্ধুত্বের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা এবং সিপিইসি (চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর) ২.০ নিয়ে মতবিনিময় করেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সব-মৌসুমী কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং আয়রন-ক্ল্যাড বন্ধুত্বের ভিত্তিতে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে একমত হন এবং আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।

এর আগে দার কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না (সিপিসি)-এর আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও-এর সঙ্গে বৈঠক করেন।

এই বৈঠকে পাকিস্তান ও সিপিসির মধ্যে রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে দুই নেতা সম্মত হন। লিউ জিয়ানচাও বলেন, চীন সবসময়ই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখে।

উল্লেখ্য, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ইসহাক দার তিন দিনের সরকারি সফরে সোমবার বেইজিং পৌঁছান।

এই সফরটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন কাশ্মীরে পেহেলগাম হামলা নিয়ে পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে তীব্র সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

৫ ও ৬ মে, ভারতের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরে বিমান হামলায় পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।

জবাবে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় জেট ভূপাতিত করে। এরপর ড্রোন প্রতিরক্ষা ও বিমানঘাঁটিতে পাল্টা হামলার পর ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

তবে ভারত এখনো আগ্রাসী অবস্থানে রয়েছে এবং পাকিস্তান সম্ভাব্য উত্তেজনা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সতর্কতা জানিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে।

বেইজিং যাত্রার আগে গণমাধ্যমকে ইসহাক দার বলেন, চীন পাকিস্তানের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার এবং দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও আয়রন-ক্ল্যাড সম্পর্ক বিদ্যমান।

চীনা নেতৃত্বের সঙ্গে তার আলোচনায় রাজনৈতিক, আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক এবং সাম্প্রতিক পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হবে বলেও তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে