বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ এএসএম আমানুল্লাহ বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে অটোপাস দেয়া হবে না। এতে আমাকে যদি পদত্যাগও করতে হয় আমি করবো, তবুও ফেল করা শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেবো না। যদি অটোপাস দেয়া হয়, তবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরবে।
হামলায় আহত উপাচার্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক জানান, বুধবার দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবনের ফটকে গাড়ি থেকে নামার সময় স্নাতক (পাস)-২০২২ এর পরীক্ষার্থীরা অটোপাসের দাবিতে তাকে ঘিরে ধরেন। এ সময় তাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছু ছাত্র নামধারী দুষ্কৃতকারী অসৎ উদ্দেশ্যে উপাচার্যকে হামলার করেন। এতে তিনি পায়ে চোট পান।
স্নাতক (পাস) কোর্সের ছাত্রছাত্রীরা অটোপাসের দাবিতে কয়েক মাস আগেও বহুবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশৃংখল অবস্থার সৃষ্টি করেছিল কিন্তু অটোপাস না দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সুদৃঢ় অবস্থানের কারণে এই স্নাতক (পাস) কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে ৬৯শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করে। ৩১শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। ফেল করা এই ৩১শতাংশ শিক্ষার্থীই অটোপাস দাবি করছে।
করোনা মহামারী এবং অন্যান্য রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা বিবেচনা করে এই ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে ইতোমধ্যেই গ্রেস মার্ক দিয়ে পাস করানো হয়েছে। এছাড়া এদেরকে খাতা পুনঃমূল্যায়নের সুযোগও দেয়া হয়েছে, যার ফল এ মাসেই বের হবে। কিন্তু বিভিন্ন মহলের উস্কানির পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যাচের কিছুসংখ্যক অকৃতকার্য শিক্ষার্থী আবার অটোপাসের দাবি নিয়ে এসে বুধবার হঠাৎ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো কোনো অবস্থাতেই কোন ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে কোন প্রকার অটোপাস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দিবে না।
হামলার বিষয়ে আরো বলেন, ওদের প্ল্যানটা খুব খারাপ ছিল। এ হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।