পাকিস্তান ও আজারবাইজান পারস্পরিক কৌশলগত অংশীদারত্ব সম্প্রসারণ এবং উভয় দেশের স্বার্থে বিনিয়োগের নতুন সুযোগ অনুসন্ধানে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আজারবাইজানের লাচিন শহরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ অঙ্গীকারের পুনরাবৃত্তি ঘটে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এআরওয়াই নিউজ।
বৈঠকে দুই নেতা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং এসব ক্ষেত্রে সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান গতিপ্রবাহে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন, সব পরিস্থিতিতে দুই দেশই একে অপরের পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও এই সংহতি বজায় থাকবে।
এই বৈঠকটি আজারবাইজানের স্বাধীনতা দিবসে অনুষ্ঠেয় পাকিস্তান-আজারবাইজান-তুর্কি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত হয়, যা দুই নেতার বৈঠকে একটি প্রতীকী মাত্রা যোগ করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখবাজ প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ ও আজারবাইজানের জনগণকে এই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি সাম্প্রতিক পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনার সময় আজারবাইজানের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, ভারতীয় উসকানির মুখে আজারবাইজানের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রকাশ্য সংহতি পাকিস্তানের জন্য গভীর তাৎপর্যপূর্ণ।
শাহবাজ বলেন, মার্কা-এ-হক-এ পাকিস্তানের সাফল্যে আজারবাইজানের জনগণ উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপন করেছে।
বৈঠকে উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক দিক পর্যালোচনা করেন এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার ইতিবাচক গতিপথে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তারা কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও বহুমাত্রিক করে তুলতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দুই দেশ একে অপরের পাশে থাকবে।
আজারবাইজান বিনিয়োগ অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রতিনিধি দল বিনিময়ে সম্মত হয়েছে।
এ বিষয়ে খুব শিগগিরই দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
শাহবাজ শরিফ উল্লেখ করেন, লাচিন শহরে এই বৈঠক হওয়া এক প্রতীকী ও আবেগঘন মুহূর্ত—যা আজারবাইজানের পুনরুদ্ধার ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতিফলন।
বৈঠক শেষে উভয় নেতা পাকিস্তান-আজারবাইজান অংশীদারত্ব আরও জোরদার করার এবং দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে অভিন্ন লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার, সেনাবাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী তারিক ফতেমি।