বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

রোজা আত্মশুদ্ধির মূল হাতিয়ার

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৩
রোজা আত্মশুদ্ধির মূল হাতিয়ার

পবিত্র মাহে রমজানের আজ দ্বিতীয় দিন। রোজাকে বলা হয় স্রষ্টা-সচেতনতার মাস। রোজা মানুষের দেহকে সব ধরনের দূষণমুক্ত করে। শারীরিক মানসিক সামাজিক আত্মিক যতরকম দূষণ আছে মুক্ত রাখে রমজান।

দীর্ঘ ৩০ দিন ১২- ১৪ ঘন্টা সকল প্রকার পানহার থেকে বর্জন করে মানুষকে করে তুলে সুস্থতা। রমজান মাসের যে এত গুরুত্ব এর প্রধান কারণ হচ্ছে এই মাসে আল্লাহতায়ালা মানুষের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় সুখী করার যে ম্যানুয়াল আল কোরআন, এই ম্যানুয়ালের অবতীর্ণ করেন।

সূরা বনি ইসরাইলের ৮২ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, বিশ্বাসীদের জন্যে কোরআন শেফা এবং রহমতস্বরূপ।

কুরআনের বিধান মানতে রমজানের নিয়মতান্ত্রিকতাই হলো রোজাদারের জন্য তাকওয়া অর্জনে সারা বছরের প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

ইসলামী শরীয়তে সওম হলো- আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে নিয়তসহ সুবহে সাদিকের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার, ভোগ-বিলাস ও পাপাচার থেকে বিরত থাকাই হচ্ছে সিয়াম।

আত্মশুদ্ধি, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি গুণ অর্জনের প্রত্যক্ষ প্রশিক্ষণ লাভ হয় রমজানে রোজা পালনের মাধ্যমে।

মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে রোজা সম্পর্কে বলেছেন- ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।’

রমজানের রোজা সাধনার মাধ্যমে মানুষের অন্তরের রিপুকে আল্লাহর তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিশ্চিত করা হয়। অন্তরের পশু প্রবৃত্তিকে বশীভূত করে মানুষ সর্বোচ্চ প্রশান্ত আত্মা পর্যায়ে উপনীত হয়।

প্রকৃত রোজাদার তাই এ মাসে আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংশোধনের পর্যায়ে উপনীত হয়। আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংশোধনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে। আর সত্যিকার সিয়াম সাধনার মাধ্যমে সমাজ থেকে সব অন্যায়, অনাচার, ব্যভিচার ও সন্ত্রাস দূরীভূত হয়। গোটা ব্যক্তিজীবনে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে জীবনযাপনের নিশ্চয়তা লাভ করা যায়।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে