টাঙ্গাইলে ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচন আয়োজন ও ভোট চুরির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যূত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সিইসিসহ সংশ্লিষ্ট ১৮৮ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে।
এ দিন বিকালে আদালতের বিচারক রুমেলিয়া সিরাজাম মামলাটি আমলে নিয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার বাদী কামরুল হাসান ভূঞাপুর উপজেলার ভারই গ্রামের মৃত মমতাজউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন নিয়ে আদালতে মামলা হওয়ায় টাঙ্গাইল শহর ও ভূঞাপুর-গোপালপুরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু রায়হান খান জানান, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ডামি ও ভোটচুরির নির্বাচন আখ্যায়িত করে মামলাটি করা হয়।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মোট ১৮৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। পরে ভূঞাপুর থানার ওসিকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, মামলায় ১৮৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০-২০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হচ্ছেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান(ছোট মনির), সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) হাবিবুল আওয়াল, পুলিশের তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, টাঙ্গাইলের সাবেক জেলা প্রশাসক ও তৎকালীন রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস, সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের নির্দেশক্রমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্য আসামিদের যোগসাজশে গত ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি একটি ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেন। তিনি (বাদী কামরুল হাসান) ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়নের ভারই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার ছিলেন। তিনি অন্য ভোটারদের সঙ্গে ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় তাকে মারধর করা হয় এবং হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। নির্বাচনে পুলিশ ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সহায়তায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্র দখলে নিয়ে জোর করে নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্স ভর্তি করেন।
এভাবে অন্যের ভোট চুরি করে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তানভীর হাসানকে (ছোট মনির) সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত করা হয়। এতে দেশ ও জনগণের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। মামলার বাদী
এ ঘটনার প্রতিকারের পাশাপাশি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।