শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন দাবি করেছেন, তাঁকে আড়াই বছর ধরে ‘আয়নাঘরে’ বন্দি রাখা হয়েছিল।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি এ দাবি করেন।
সুব্রত বলেন, ‘আমাকে আড়াই বছর আয়নাঘরে রাখা হয়। বলে আমি না কি চুরি-ছিনতাই করি। এখন কত কিছু বানায়। আমার কোনো পাওয়ার দরকার নেই। ২০২২ সালে আমাকে চোখ বেঁধে তুলে নেওয়া হয়েছিল। আড়াই বছর পর ৫ তারিখ রাত ৩টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর ৫টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া জেলার সোনার বাংলা রোড এলাকা থেকে সুব্রত বাইন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তীকালে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরও দুই সহযোগী শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে।
এই চারজনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বুধবার আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড গুলি ও একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, সেভেন স্টার চক্রের অন্যতম শীর্ষ পরিকল্পনাকারী সুব্রত বাইন দীর্ঘদিন ধরে দেশজুড়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।