শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নদীতে ফুল ভাসিয়ে বিজু উৎসব শুরু 

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৫
ছবি : যায়যায়দিন

সারাদেশের উৎসবের আমেজে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এর মধ্যে ১ বৈশাখ কড়া নাড়ছে দরজায়। অন্যদিকে বান্দরবানের চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিজু ও বিষু উৎসব শুরু হয়েছে। মোট কথা কয়েকটি উৎসবে কাটবে বাংলাদেশের মানুষের। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে তরুণ তরুণীরা এ উৎসব শুরু হয়। এ সময় নদী পাড়ে মানুষের ভিড় জমে যায়।

জানা যায়, বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে বছরের শেষ দুদিন ও বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন চাকমারা ফুল বিজু, মূল বিজু ও গজ্যাপজ্যা বিজু পালন করে থাকে।

সবার ঘরে হরেক রকমের সবজির মিশ্রণে পাজন রান্না হবে। নতুন কাপড় পরে দলবেঁধে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়াবে সবাই। এছাড়া সাধ্য অনুসারে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করে বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন এমনকি কারও সঙ্গে অতীতের বৈরিতা থাকলে এদিন একে অপরকে ক্ষমার মাধ্যমে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ করেন।

এদিকে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন চাকমারা বলে গজ্যাপজ্যা দিন, এদিনও মূল বিজুর আমেজ থাকে, মুরব্বি ও বয়স্কদের নিজ বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে উন্নত খাবার পরিবেশন করে আশীর্বাদ নেওয়া হয়। বিহারের ভিক্ষু সংঘকে উন্নত মানের খাদ্য ভোজন দান করা হয়, বাড়িতে বিকেলে পারিবারিক মঙ্গলের জন্য ধর্মীয় গুরুদের আমন্ত্রণ করে মঙ্গল সূত্রপাঠ শোনা হয়। তরুণ-তরুণীরা বয়স্কদেরকে গোসল করিয়ে আশীর্বাদ নেন।

সম্প্রদায়ের তরুণীরা বলেন-সকলে যেন সুখে শান্তিতে থাকে এজন্য আমরা নদীতে ফুল ভাসাই। এদিনটা আমাদের জন্য খুবই খুশির দিন।

কয়েকজন তরুণী জানান, আমরা তিনদিন ব্যাপী বিজু উৎসব পালন করবো। প্রতিদিন নানা উৎসব পালন করা হবে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করে হবে পাচন। তঞ্চঙ্গ্যা ও চাকমা সম্প্রদায়ের তরুণ তরুণীরা একে অপরের বাড়িতে গিয়ে পাচন খাবেন। আগামী তিন দিন চলবে এই অনুষ্ঠান।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে