সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো শুরু হয়েছে। রেডিও-টেলিভিশনে, ভিডিও, মোবাইলে বেজে চলেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কালজয়ী গান, ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।’
বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল সোমবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। বছর ঘুরে আবারও এলো খুশির ঈদ।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসব ঘিরে মুমিন হৃদয়ে ছড়িয়ে পড়েছে আনন্দের ঢেউ। কারণ ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি ভাগাভাগি করা।
ঈদ মানে আত্মত্যাগের মহিমায় নিজেকে শানিত করা। ধনী-গরিব এক কাতারে দাঁড়ানো, একই আনন্দে হারিয়ে সাম্যের নিদর্শন স্থাপনের নামই ঈদুল ফিতর।
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে আসে এই ঈদুল ফিতর। রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের সুসংবাদ নিয়ে আসে। মুসলমানরা সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নিজেদের পরিশুদ্ধ এবং পরকালের জীবনকে সমৃদ্ধ করেন।
পার্থিব জীবনে মুসলমানদের জন্য এটা অনেক বড় আনন্দের বিষয়। আরও আনন্দের বিষয় হচ্ছে মাহে রমজান শেষে খুশির ঈদ। কারণ এই ঈদ ফিতরা দিয়ে গরিবের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়। ঈদ ধনী-গরিবের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে।
ঈদ ধর্মীয় উৎসব হলেও এটি মূলত গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠান। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ, আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে মুসলমানরা এদিন তাদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পবিত্র রমজানে পুরো এক মাস রোজা পালন করে এখন জামাতে ঈদের নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। রাজধানীসহ সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ঈদ জামাতের প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
যাযাদি/ এস