বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির আন্দোলন, পদযাত্রা-বিক্ষোভ মিছিল সব ভুয়া, তাদের নেতাও ভুয়া  : ওবায়দুল কাদের   

ঢাবি প্রতিনিধি
  ২৩ মার্চ ২০২৩, ১০:২২
ছবি-যাযাদি

বিএনপির অবস্থা এখন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের আঁকা কাদায় আটকে পড়া গরুর গাড়ির মতো বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন এখন চোরাবালিতে আটকে গেছে। সামনেও যায় না, পেছনেও যায় না; ডানেও যায় না, বাঁয়েও যায় না।

বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এসময় বিএনপির বিরুদ্ধে কূটনীতিকদের কাছে ধরনা দেওয়ার অভিযোগ তোলে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠেই চোখ কচলাতে কচলাতে তারা (বিএনপি) বারিধারা-গুলশানে যায়, ব্রেকফাস্টে বসে কত গল্প করে! তারা নাকি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে উৎখাত করবে! ১০ ডিসেম্বর নাকি খালেদা জিয়া দেশ চালাবে, তারেক নাকি দেশে ফিরবে! শেষ পর্যন্ত নয়াপল্টনও পেল না, পেল গোলাপবাগের গরুর হাট।’

বিএনপি নেতাদের প্রতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ‘ভূত’ মাথা থেকে নামিয়ে ফেলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে গিয়েছিলাম। আমেরিকান অ্যাম্বাসেডরকে আমরা বলে এসেছি, ইট ইজ নট পসিবল টু রিটার্ন টু সো-কল্ড কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট অ্যাগেইন'।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফখরুল বলেন, আমরা নাকি গণতন্ত্র ধ্বংস করেছি। গণতন্ত্রকে তোমরা কবর দিয়েছ। ভুয়া ভোটার তালিকা করে মাগুরার নির্লজ্জ উপনির্বাচনের কথা ভুলে গেছেন? গণতন্ত্র হত্যা বিএনপি করেছে। তাদের হাতে এই দেশ আর যাবে না।’ বিএনপি ধ্বংস করেছে, শেখ হাসিনা মেরামত করেছেন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন তারা রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা, সরকার উৎখাতের ১০ দফা দিচ্ছে। এগুলো সব ভুয়া। এসব দফা, তাদের আন্দোলন, পদযাত্রা-বিক্ষোভ মিছিল সব ভুয়া। তাদের নেতাও ভুয়া।

এসময় ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি পরিষ্কার বলতে চাই, খারাপ ছেলেমেয়েদের আমাদের কোনো দরকার নেই। যাদের নামে বদনাম, যাদের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, সিট–বাণিজ্য ও মাদকের মানসিকতা, তাদের পরিহার করতে হবে। অনেক দিনের গলিত-পচা জিনিস এখনো রয়ে গেছে। এই পচা-গলিত অংশটা বাদ দিতে হবে। সার্জারি করে বিষফোড়াটি বের করে দিতে হবে।'

বিএনপির আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, কোথায় গেল লম্ফঝম্ফ, কোথায় গেল আন্দোলন! সব থেমে যাবে। তোমরা (ছাত্রলীগ) শুধু একটু ঠিক থেকো। ভালো কাজের মধ্যে একটা অঘটন ঘটাইয়ো না। শেখ হাসিনার ভালো কাজগুলোকে একটা খারাপ কাজ দিয়ে ম্লান করতে যেয়ো না। তোমাদের কাছে এটা বিশেষ অনুরোধ। আশা করি, অবিলম্বে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হবে এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কাজ পাবে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।এছাড়া বিশেষ আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এতে আরও বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে