ফরিদপুরে বহুল আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারি মামলায় কারাগারে থেকে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. সামচুল আলম চৌধুরী। ৩১ হাজার ৯শ ৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সামচুল আলম চৌধুরী ফরিদপুর কোতয়ালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হাসান টেলিফোন প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯ ভোট।

বুধবার (০৮ মে) ৬ষ্ঠ অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে তাকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (০৭ মে) ফরিদপুরের আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলায় নির্বাচনের আগের দিন মো. সামচুল আলম চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর ওই আদেশ দেয়।

একই মামলায় জামিন পান ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মো. নাসির।

সেই হেলিকপ্টারে ইরানি প্রেসিডেন্ট ছিলেন না!

এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন তারা। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস পাল বলেন, এই মামলায় সম্প্রতি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে জানার পরই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আসামিরা। অমিতাভ বোস ও নাসিরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে সামচুল আলম চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়। ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফরিদপুর সদরে ভোটার ছিলো ৪ লাখ ৮ হাজার ৬শ ৮০ জন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ফরিদপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেমদ জানান, এই নির্বাচনে ৩০ শতাংশের একটু বেশি ভোটার যাদের ভোট প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হয়েছে, কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

যাযাদি/ এস