নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নির্বাচনে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদকে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মাকসুদ হোসেন। নির্বাচনে প্রচার প্রচারনায় মাকসুদকে রাজাকারের পুত্র বলে ভোট না দেয়ার আহবান করা হয়েছিল।

বুধবার (৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসার কাজী ইস্তাফিজুল হক আখন্দ ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, মাকসুদ হোসেন (আনারস) পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এ রশিদ (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৩৮ ভোট এবং আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি (বহিস্কৃত) আতাউর রহমান মুকুল (চিংড়ি মাছ) পেয়েছেন ১২ হাজার ৬২২ ভোট।

সেই হেলিকপ্টারে ইরানি প্রেসিডেন্ট ছিলেন না!

ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলমগীর হোসেন (মাইক) ১৭ হাজার ৬০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাতীয় পার্টির নেতা সানুউল্লাহ সানু (উড়োজাহাজ) পেয়েছেন ১৭ হাজার ১ ভোট। এছাড়া শহিদুল ইসলাম জুয়েল (টিউবওয়েল) ১৩ হাজার ৪২৮, মোশাঈদ রহমান মুকিত (তালা) আট হাজার ৪০৬ ভোট পেয়েছেন। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছালিমা হোসেন (ফুটবল) পেয়েছেন ২৯ হাজর ৪৫৬ ভোট, মাহমুদা আক্তার (কলস) পেয়েছেন ২৬ হাজার ২৮৪ ভোট।

বিজয়ী হওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ভোটারদের ও নেতাকর্মীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এ বিজয় আমার একার নয় এ বিজয় বন্দর উপজেলাবাসীর। আপনারা সবাই শান্ত থাকবেন। নির্বাচনের কিছু আচরণ বিধি আছে, আমাকে ভালোবাসলে সেগুলো মেনে চলবেন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন বন্দর উপজেলারবাসীর সেবা করতে পারি।

যাযাদি/ এস