জুলাই গণঅভ্যুথানের নেতৃত্বে দেওয়া অন্যতম ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেছেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ প্রেসক্রিপশনে ভারত আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
পাশাপাশি বিচারব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, সকল প্রতিষ্ঠানকেও তারা ধ্বংস করেছে।
তাছাড়া এই আওয়ামী লীগ বিনা বিচারে মানুষ মেরেছে, শাপলা চত্বরে আলেমদের হত্যা করেছে, গুম-খুন করেছে।
২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে মুক্ত করেছি।
আজ রবিবার (২৫ মে) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ভারতীয় ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ও জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘জুলাইয়ের সব শক্তি’কে নিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সাদিক কায়েম, জুলাইয়ের পর আমাদের স্বপ্ন ছিল একটি ইনসাফ ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়া। সকল স্টেক হোল্ডারদের সাথে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়া।
কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছি কিছু লোক সেই ঐক্য বিনষ্ট করছে। আমাদের যারা আহত আছে, যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে তারা এখনো সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। এর চাইতে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না।
‘‘আমরা ইন্টেরিম সরকারকে বলবো, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, যারা এতে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছে, তাদের দ্রুত বিচার করতে হবে। দেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে রিফর্ম করতে হবে।’’
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের মেজর পলিটিক্যাল পার্টিগুলোতে বলতে চাই, জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে একটি প্রজন্ম তৈরি হয়েছে। যারা আর ফ্যাসিবাদকে ভয় পায় না, কাউকে ভয় পায় না।
তারা ছাত্রদল করেন না, শিবির করেন না, জামায়েত করেন না।
কিন্তু তারা সত্যি বলতে শিখে গেছে। জুলাই বিপ্লবের যে স্পিরিট তা যদি ধারণ না করেন, ফ্যাসিবাদের মতো কাজ করেন, তাহলে খুনি হাসিনার যে পরিণতি হয়েছে আপনাদেরও তা হবে।