রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে ভর্তি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের কর্মী মো. শাহীন হোসেনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রদলের অপর এক কর্মী মল্লিক শাহীনকেও সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রবিাবর (২৫ মে) কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলী বদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শাহীন হোসেনের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২১ মে কলেজের ভর্তি রেজিস্ট্রার খাতা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১৩৭৬ জন শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, মোবাইল নম্বরসহ) চুরি করে ছবি তুলে নেন মো. শাহীন হোসেন। এ সময় মল্লিক শাহীনসহ আরও তিনজন তার সঙ্গে ছিলেন এবং সহায়তা করেন।
এই তথ্যের ভিত্তিতে শাহীন ‘Habibullah Bahar College New Admission Group’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলেন এবং ভর্তি সংক্রান্ত নানা সুবিধা দেয়ার প্রলোভনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। এতে কলেজে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
ঘটনার পরপরই কলেজ কর্তৃপক্ষ জরুরি শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক ডাকে। বৈঠকে রমনা থানার পুলিশ প্রতিনিধি, কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম, দাতা সদস্য আতিকুর রহমান, অন্যান্য সদস্য এবং অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি বিশদভাবে পর্যালোচনা করা হয়। সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মো. শাহীন হোসেনকে কলেজ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার (২৬ মে) ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদার) মুদাসসসিরুল ইসলাম রায়হান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মল্লিক শাহীনকে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মল্লিক শাহীনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি মহানগরের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় ছাত্ররাজনীতি সংশ্লিষ্টতা ও ভর্তিচক্র নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে।