বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধন

শীর্ষ ১০টির মধ্যে ফ্লোর প্রাইসের বাইরে দুই কোম্পানির শেয়ার

যাযাদি ডেস্ক
  ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫১
শীর্ষ ১০টির মধ্যে ফ্লোর প্রাইসের বাইরে দুই কোম্পানির শেয়ার

পুঁজিবাজারে সূচকের ওঠানামায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে ফ্রি ফ্লোট শেয়ার। তবে ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধনের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ফ্লোর প্রাইসে রয়েছে আট কোম্পানি। বাকি দুটি ফ্লোর প্রাইসের বাইরে রয়েছে। কোম্পানি দুটি হলো স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে, ফ্লোর প্রাইসের বাইরে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বাজারের মোট ফ্রি ফ্লোট মূলধনের ৭ শতাংশই কোম্পানিটির দখলে। ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের ভিত্তিতে কোম্পানিটির বাজার মূলধনের পরিমাণ ১২ হাজার ১৪৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধন বিবেচনায় শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ খাতের কোম্পানিটি।

তামাক খাতের বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি) লিমিটেড এক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। মোট ফ্রি ফ্লোট মূলধনের ৪ দশমিক ৩ শতাংশ তাদের দখলে। ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের ভিত্তিতে কোম্পানিটির বাজার মূলধনের পরিমাণ ৭ হাজার ৪০৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের হিসাবে বাজার মূলধনে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির অবস্থান তৃতীয়। কোম্পানির দখলে রয়েছে মোট ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধনের ৪ শতাংশ, যার পরিমাণ ৬ হাজার ৯১৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

চতুর্থ অবস্থানে থাকা রেনাটার দখলে রয়েছে মোট ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধনের ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, যার পরিমাণ ৬ হাজার ৮০৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

পঞ্চম অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার দখলে রয়েছে মোট ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধনের ২ দশমিক ৬ শতাংশ, যার পরিমাণ ৪ হাজার ৫৫৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধনের ২ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে রয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা বিকন ফার্মার, যার পরিমাণ ৩ হাজার ৯৬১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বাজার মূলধনের দিক দিয়ে শেয়ারবাজারের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি হলেও ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের হিসাবে বাজার মূলধনে গ্রামীণফোনের অবস্থান সপ্তম। কোম্পানির দখলে রয়েছে মোট ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধনের ২ দশমিক ২ শতাংশ।

এর পরে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারের। ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধন এ তিন কোম্পানির দখলে রয়েছে যথাক্রমে ১ দশমিক ৮, ১ দশমিক ৭ ও ১ দশমিক ৬ শতাংশ।

স¤প্রতি যে ৩৫ কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়েছে তার মধ্যে ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধনের ভিত্তিতে শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে চারটি রয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো বিএটিবিসি, গ্রামীণফোন, ইসলামী ব্যাংক ও রেনাটা।

উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ওঠানামার ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় সূচকের উত্থান-পতন। সূচকের অধীন কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন নির্ধারণে ব্যবহার করা হয় ফ্রি ফ্লোট পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে দেশের শেয়ারবাজারে সূচকের ওঠানামায় মূল নিয়ামকের ভ‚মিকা রাখছে মাত্র ২০টি কোম্পানি। এ কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়ার বিপরীতে বাজারের অন্যান্য কোম্পানির দর কমলেও দিন শেষে সূচক থাকে ঊর্ধ্বমুখী। বিপরীতে এ কোম্পানিগুলোর দর কমলে তালিকাভুক্ত বাকি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও সূচকে প্রতিফলন ঘটে সামান্যই।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স হিসাব করা হয় মোট ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধনের ভিত্তিতে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির সময় যে-সংখ্যক শেয়ার ইস্যু করা হয়, সেগুলোই ফ্রি ফ্লোট শেয়ার। প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা শেয়ারের ওপর লকড ইন পিরিয়ড থাকা পর্যন্ত সেগুলো ফ্রি ফ্লোট শেয়ার হিসেবে গণ্য হয় না। এর বাইরে উদ্যোক্তা পরিচালক, সরকার ও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ারধারীর কাছে থাকা শেয়ারগুলোও ফ্রি ফ্লোট শেয়ার নয়।

বাজার মূলধন নির্ধারণে ফ্রি ফ্লোট পদ্ধতিকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ লেনদেনের জন্য সক্রিয় থাকা শেয়ারগুলোর ভিত্তিতে এটা নির্ধারণ করা হয় বলে বাজারের গতিপ্রকৃতির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য চিত্রও উঠে আসে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে