বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

যাযাদি ডেস্ক
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০২
লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

ফ্লোর প্রাইসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজার এক প্রকার স্থবির হয়ে ছিল। তবে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পরই বাজার গতিশীল হতে শুরু করেছে। গত রোববার ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর প্রথম দিন প্রাথমিক ধাক্কা কিছুটা সামলে নিয়েছে পুঁজিবাজার। গতকাল দ্বিতীয় দিন শেষে বাজারে সূচকের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। এর প্রভাবে গতকাল ছয় মাস পর পুঁজিবাজারের লেনদেন ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর ২ মিনিট পর থেকেই ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা গেছে পুঁজিবাজারে, যা শেষ পর্যন্ত বজায় ছিল। গতকাল দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬ হাজার ২৪০ পয়েন্টে। গতকাল সূচকটির উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার।

ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে গতকাল লেনদেন শেষে শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮১ পয়েন্টে।

আগের দিন সূচকটির অবস্থান ছিল ১ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে। বাছাইকৃত শেয়ারের সমন্বয়ে গঠিত ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ১১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৮ পয়েন্টে। আগের দিন শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ২ হাজার ১৩৭ পয়েন্টে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইসের প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেয়ার পর গতকাল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার প্রবণতা ছিল বেশি। যেসব শেয়ারের বিক্রির আদেশ বেশি ছিল সেগুলো অনেকে কিনেছেনও। বিনিয়োগকারীদের অনেকেই সাইডলাইন থেকে বের হয়ে বাজারে নতুন তহবিল বিনিয়োগ করেছেন। ফলে দীর্ঘদিন পর অনেক শেয়ার ক্রেতা খুঁজে পেয়েছে।

গতকাল ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৪২ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৮৯ কোটি টাকা। সে হিসেবে একদিনের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন বেড়েছে ৭৭ শতাংশ। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ২০৭টির, কমেছে ১৪৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪০টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্র অনুসারে, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৭ শতাংশ দখলে ছিল প্রকৌশল খাতের। ৯ দশমিক ২ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে ছিল সাধারণ বীমা খাত। মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৩ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। আর খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। গতকাল ডিএসইতে ইতিবাচক রিটার্নের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল পাট, তথ্য প্রযুক্তি এবং কাগজ ও মুদ্রণ খাত। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নের শীর্ষে ছিল প্রকৌশল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বস্ত্র খাত।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ৫১ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৯১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১০ হাজার ৯৬৪ পয়েন্টে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ৯৪ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ২৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১৮ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৬৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১১৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৬টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ২১ কোটি ৮০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে