শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

আরো ২৩ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার

যাযাদি ডেস্ক
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৫
আরো ২৩ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার

গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৩৫টি কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল রেখে বাকি সব শেয়ারের ওপর থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকা ৩৫টির মধ্য থেকে আরো ২৩টির ক্ষেত্রে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। বহাল রাখা হয়েছে ১২টির ওপর। গতকাল বিএসইসি এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে। আজ থেকে এটি কার্যকর হবে।

ফ্লোর প্রত্যাহারসংক্রান্ত বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৮ জুলাই কমিশনের জারি করা আদেশ অনুসারে ফ্লোর প্রাইস ও অন্যান্য শর্ত শুধু ১২ কোম্পানির শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যে ১২ কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, গ্রামীণফোন, ইসলামী ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ওরিয়ন ফার্মা, রেনাটা, রবি আজিয়াটা ও শাহজিবাজার পাওয়ার। এছাড়া শেয়ারদরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমাসংক্রান্ত ২০২১ সালের ১৭ জুন জারি করা কমিশনের আদেশ ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা ১২ কোম্পানি বাদে বাকি সব কোম্পানির শেয়ারের জন্য প্রযোজ্য হবে। গতকাল নতুন আদেশ জারির মাধ্যমে এর আগে ১৮ জানুয়ারি জারি করা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারসংক্রান্ত আদেশটি রদ করা হয়েছে।

এ আদেশ অনুসারে, শেয়ারদর ২০০ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে। শেয়ারদর ২০০ টাকার ওপরে হলে এবং ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার থাকবে। ৫০০ টাকার বেশি এবং ১ হাজার টাকা পর্যন্ত শেয়ারদর থাকলে সেক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। শেয়ারদর ১ হাজার টাকার বেশি এবং ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হবে। শেয়ারদর ২ হাজার টাকার ওপরে থাকলে এবং ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকার হবে ৫ শতাংশ। শেয়ারদর ৫ হাজার টাকার বেশি হলে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হবে। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নতুন সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রেও স্ল্যাবভিত্তিক এ সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে।

প্রসঙ্গত, দেশের পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস যুগের শুরু ২০২০ সালের মার্চে। কভিড সংক্রমণের প্রভাবে পুঁজিবাজারে দরপতন তীব্র হয়ে উঠলে তা ঠেকাতে সে বছরের ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এক বছরেরও বেশি সময় পর ২০২১ সালের ১৭ জুন ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশের অর্থনীতিতে অস্থিরতা শুরু হলে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এর পাঁচ মাসের মাথায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ১৬৯টি কোম্পানির ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। যদিও এ কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর কমতে শুরু করলে দুই মাস পরই গত বছরের ১ মার্চ আবারো ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়, যা গত ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল ছিল।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে