শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রামীণফোনের ১২৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৯
গ্রামীণফোনের ১২৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের পর্ষদ সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

গতকাল স্টক এক্সচেঞ্জ ও কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে গ্রামীণফোনের আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৫ হাজার ৪০ কোটি টাকা।

আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ টাকা ৪৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২২ টাকা ২৯ পয়সায়। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৩৯ পয়াসয়, আগের হিসাব বছর শেষে ছিল ৩৪ টাকা ২২ পয়সা।

ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২ মে সকাল সাড়ে ১০টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে এজিএম আহŸান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ ফেব্রæয়ারি।

এর আগে সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে গ্রামীণফোন। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ও ১২৫ শতাংশ অন্তর্র্বতীকালীন নগদ লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২২ টাকা ২৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৫ টাকা ২৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৪ টাকা ২২ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৬ টাকা ৯৪ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল গ্রামীণফোন। এর মধ্যে ১২৫ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ও ১২৫ শতাংশ অন্তর্র্বতীকালীন নগদ লভ্যাংশ। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৪৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল গ্রামীণফোন। ওই বছর কোম্পানিটি এর বাইরে ১৩০ শতাংশ অন্তর্র্বতীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

সব মিলিয়ে আলোচ্য হিসাব বছরে মোট ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা।

সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং অনুসারে, কোম্পানির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং প্রকাশের দিন পর্যন্ত কোম্পানিটির প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফর্মেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।

২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোনের অনুমোদিত মূলধন ৪ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৪৮৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতেই রয়েছে ৯০ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল গ্রামীণফোনের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল একই, ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সা।

যযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে