পাক্কা এক’শ মিনিট পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির বল গড়ায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। টস যথাসময়ে হলেও হঠাৎ কালো মেঘে ছেয়ে যায় গোটা স্টেডিয়াম। ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। এরপর খেলা পিছিয়ে যায় এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
খেলা শুরু হওয়ার পর শুরু হয় লিটন দাশ ও রনি তালুকদারের ঝড়। যে ঝড়ে স্রেফ লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ। ১৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ২০২ রান করে। পাহাড়সম এই রান করতে গিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল রেকর্ডের ছড়াছড়ি। এক পলকে বাংলাদেশের সব অর্জন দেখে নেয়া যাক।
দ্রুততম দলীয় ফিফটি:
দ্রুততম ব্যক্তিগত ফিফটি:
দ্রুততম দলীয় শতক: লিটনের ঝড়ো আক্রমণে বাংলাদেশ দ্রুততম দলীয় শতরানও পায়। ৪৩ বলে বাংলাদেশের রান তিন অঙ্কে পৌঁছে যায়। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৫৩ বলে শতরান পেয়েছিল।
প্রথম উইকেটে রানের রেকর্ড: লিটন ও রনি উদ্বোধনী জুটিতে ১২৪ রান তোলে যা প্রথম উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড। এর আগে ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সৌম্য সরকার ও নাঈম শেখ ১০২ রান করেছিলেন। এছাড়া যেকোনো উইকেটে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১২ সালে তামিম ও মাহমুদউল্লাহ ১৩২ রান করেছিলেন।
১৭ ওভারে দলীয় সর্বোচ্চ: ১৭ ওভারে টি-টোয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ। এর আগে বাংলাদেশ ১৭ ওভারে ১৯০ রান করেছিল।
পাওয়ার প্লেতে ৭৩: পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশ আজ ৭৩ রান তুলেছে। যদিও আজ পাওয়ার প্লে ছিল ৫ ওভারের। আগের দিন পাওয়ার প্লে’তে (৬ ওভারে) ৮১ রান করেছিল।
যাযাদি/এস এস