বাংলাদেশ ১-২ সিঙ্গাপুর। লাল–সবুজের প্রতিনিধিরা এখন ম্যাচে সমতা আনার চেষ্টায়।
ম্যাচের ৫৯ মিনিটে বাংলাদেশকে ০-২ গোলে পিছিয়ে দিতে সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় গোলটি করেছেন ইকসান ফান্দি। বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া সিঙ্গাপুরের এক ফরোয়ার্ডের শট বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল ঠেকালেও ভালোভাবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি।
বক্সের মধ্যেই বল পেয়ে যান ফান্দি। দূরের পোস্টে তার নেওয়া শট তাকিয়ে তাকিয়ে জালে যেতে দেখেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তপু বর্মণ। মিতুল তখন ছিলেন প্রথম পোস্টে। তপুর সে সময় দ্বিতীয় পোস্টে থাকার কথা। কিন্তু তিনি ছিলেন ভুল জায়গায়!
আর সেখান থেকে তিনি বল দেন বাঁ পাশে। শট নেন সিঙ্গাপুরের সং উই ইয়াং। হামজা চৌধুরী অনেক দূর থেকে দৌড়ে এসে গোল বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি।
ম্যাচের শুরু থেকে শরীরী ভাষা ছিল আগ্রাসী। প্রতিপক্ষকে মাঝমাঠেই আটকে রাখার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে বসে লাল-সবুজরা। থ্রো-ইন থেকে গোলমুখে আসা বল পাঞ্চ করতে গিয়ে গোললাইনের বাইরে সরে গিয়েছিলেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। ফিরতি বলে সং উই ইয়ংয়ের প্লেসিং ঠেকাতে পারেননি হামজা চৌধুরী, যদিও শেষ মুহূর্তে তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল পারফরমার ছিলেন অভিষিক্ত শমিত সোম। মধ্যমাঠ থেকে একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরি করেন তিনি। প্রথমার্ধে পাঁচটি নিখুঁত বল বাড়িয়েছিলেন, যার প্রতিটি থেকেই গোল হতে পারতো। তবে রাকিব হোসেন ও ফাহামিদুল ইসলাম সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।
প্রথম সুযোগ আসে সিঙ্গাপুরের পক্ষ থেকেই। ৯ মিনিটে হারিস স্টুয়ার্টের লম্বা থ্রো থেকে উইয়ং সং বল পায়ে পেলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে বাইরে মেরে বসেন। ১৬ মিনিটে বাংলাদেশের সামনে আসে দারুণ এক সুযোগ। ডান দিক থেকে শাকিল আহাদ তপুর ক্রসে বল ছোট বক্সে পড়ে রাকিব হোসেনের সামনে। কিন্তু বল পায়ে লাগাতে না পারায় হতাশ করেন তিনি।
৩০ মিনিটে বাংলাদেশ নিশ্চিত গোল হজম থেকে রক্ষা পায় গোলরক্ষক মিতুল মারমার কল্যাণে। এককভাবে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া ইকশান ফান্দির শট বাম হাতে ঠেকিয়ে দেন তরুণ এই গোলরক্ষক। সার্বিকভাবে প্রথমার্ধে দারুণ লড়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু গোলের সুযোগ তৈরি করেও তা কাজে লাগাতে না পারায় বিরতিতে যেতে হয় ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে।