টেম্বা বাভুমা টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। তারপর কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের তোপে অজিদের চাপে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রথম দিনে সকালের সেশনের পর অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৪ উইকেটে ৬৭ রান। রাবাদা ও ইয়ানসেন নেন দুটি করে উইকেট।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৩-২০২৫ চক্রের ফাইনালে আজ বুধবার (১১ জুন) মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্টের ক্রিকেটের মর্যাদাবান ট্রফি জেতার লড়াইয়ে নেমে প্রথম সেশনেই অস্ট্রেলিয়াকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলতে আসা দক্ষিণ আাফ্রিকা।
মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম সেশনে ২৩.২ ওভার ব্যাট করে অসিদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৬৭ রান। ক্রিজে আছেন স্টিভ স্মিথ (৫১ বলে ২৬)।
ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক লর্ডসে টস হেরে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটার উসমান খাজা ও মারনাস লাবুশেন শুরু থেকেই পিচে যেন কেমন অস্বস্তি অনুভব করছিলেন।
দুইদিক থেকে আক্রমণে আসার দুই দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদা ও মার্কো জানসেনের বলে বারবার পরাস্ত হতে থাকেন তারা। ব্যাটে যেন বল স্পর্শ করাতেই পারছিলেন না খাজা ও লাবুশেন।
২০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি খাজা। ইনিংসের সপ্তম ওভারে রাবাদার বলে প্রথম স্লিপে ডেভিব বেডিংহ্যামের হাতে ক্যাচ হন বাঁহাতি অসি ওপেনার। ওই ওভারের শেষ বলে নতুন ব্যাটার ক্যামেরন গ্রিনকেও (৩ বলে ৪) ফেরান রাবাাদা। গ্রিনকে দ্বিতীয় স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে জমা করান ডানহাতি পেসার।
পিচে সেট হয়েও উইকেট ধরে রাখতে পারেননি লাবুশেন। ৫৬ বলে ১৭ রান করে জানসেনের বলে উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনের হাতে ধরা পড়েন ডানহাতি অসি ব্যাটসম্যান।
সুবিধা করতে পারেননি ট্রাভিস হেডও। ১৩ বলে ১১ রান করে তিনিও একইভাবে জানসেনের শিকার হন, তালুবন্দি হন উইকেটকিপারের। তার উইকেটের পতনের সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয় প্রথম সেশনের খেলা।
ইয়ানসেন তার দ্বিতীয় উইকেট নেন ট্রাভিস হেডকে ফিরিয়ে। গত বছরের ফাইনালে একই পরিস্থিতিতে সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান মাত্র ১১ রান করে ভেরেইন্নার এক হাতের ক্যাচে বিদায় নেন। ২১ রানের জুটি ভাঙতেই প্রথম সেশন শেষ হয়, এই সময় ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন স্মিথ।