নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার পরে তৃতীয় দেশ হিসেবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নের শিরোপা গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরে। শনিবার (১৪ জুন) লর্ডসে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শিরোপা উচিয়ে ধরেছে প্রোটিয়ারা।
চলতি মাসে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে শুরু হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসর। এই আসরের ফাইনাল আয়োজনের সত্ত্ব পেতে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগামী তিন আসরের ফাইনালও ইংল্যান্ডই আয়োজন করবে।
এ বিষয়ে ইসিবিকে আইসিসি তাদের মনোভাব জানিয়ে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের অবস্থানের কথা জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আয়োজনে ভারতের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও পরবর্তী তিন ফাইনাল আয়োজনের বিষয়ে ইংলিশ ক্রিকেট সম্মতির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।’
আগামী মাসে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসির বার্ষিক সভা। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে ইংল্যান্ডকে আগামী তিন আসরের ফাইনাল আয়োজনের সত্ত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে ইংল্যান্ড আগামী ২০২৭, ২০২৯, ২০৩২ সালের ফাইনাল আয়োজনের কাজ শুরু করে দেবে।
ওই প্রতিবেদনে ভারতকে ফাইনাল আয়োজনের সত্ত্ব না দেওয়ার পেছনের কারণও উল্লেখ করেছে টেলিগ্রাফ। নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে ইংল্যান্ডের গ্রহণযোগ্যতা বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া ক্রিকেটখেলুড়ে দেশগুলোর সঙ্গে টাইমজোনও অপেক্ষাকৃত অনুকূল।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের সময়ও একটি বড় কারণ। জুনে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া খেলা শেষ করার জন্য তুলনামূলক ভালো। ব্যবসায়ীক দিকও অন্যতম একটি কারণ। ভারতে অন্যদের টেস্ট ম্যাচ দেখতে মাঠে দর্শক উপস্থিতি নিয়ে একটা শঙ্কা আছে। কিন্তু ইংল্যান্ডে মাঠে দর্শক উপস্থিতি থাকে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়ম অনুযায়ী অংশগ্রহণকারী দলগুলো একে অপরের দেশে হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচ খেলে থাকে। তবে ফাইনাল হয় আইসিসির অনুমতি দেওয়া আয়োজক দেশে।