বয়স খুব একটা হয়নি অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুসের । মাত্র ১৯ বছর বয়সে টি২০ ফরম্যাট দিয়ে ২০০৬ সালে অভিষেক তার। দুই বছর পর ওয়ানডে ক্যাপ পান।
এরও এক বছর পরে সাদা জার্সি পরে মাঠে নামার সুযোগ আসে ম্যাথুসের। শ্রীলংকার ক্রিকেটের জৌলুসের যুগে অভিষেক হয়েছিল ম্যাথুসের
আর ওই সময় কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়বর্ধানে, তিলেকারত্নে দিলশানদের নিয়ে ওয়ানডে, টি২০তে ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দলকে নিয়মিতই হার উপহার দেওয়া দল শ্রীলংকাা।
টেস্টে সাঙ্গা-মাহেলা-জয়সুরিয়া সেরাদের কাতারে। ওই যুগে ভবিষ্যত তারকা খ্যাতি নিয়ে পেস অলরাউন্ডার হিসেবে আগমণ ম্যাথুসের।
তার আগমণের পর শ্রীলংকা টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে। ম্যাথুস ২০১৪ সালে টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছেন। দুটি এশিয়া কাপ জয়ের সাক্ষী তিনি। তার আগমণের পর ওয়ানডের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে শ্রীলংকা।
তবে একটু একটু করে লংকান ক্রিকেটের তলানীতে যাওয়ার প্রত্যক্ষদর্শীও তিনি। টি২০ খেলার আশা জানিয়ে এবং লংকান ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করে ওয়ানডের পর ম্যাথুস টেস্টের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন।
বিদায় বেলায় জানিয়েছেন, তার টেস্ট ফরম্যাটের সেরা দুই স্মৃতির কথা। যা চিরস্মরণীয় থাকবে তার সঙ্গে, ‘টেস্ট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেওয়ার পর কী পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছি তা বলে বোঝানো যাবে না। যারা আমাকে সমর্থন করেছেন সকলকে ধন্যবাদ।
এটা সহজ কোন যাত্রা ছিল না। অনেক উত্থান-পতন ছিল। তরুণদের এখন এগিয়ে আসার সময় এবং লঙ্কান ক্রিকেটকে সামনে নেওয়ার পালা।
টেস্ট ক্যারিয়ারের যে স্মৃতি অম্লান থাকবে তা হলো- ইংল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারানো এবং ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করা।
আমি ক্যারিয়ারে পাওয়া সকল কোচ, সতীর্থ ও ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ ম্যাথুসকে নিয়ে লঙ্কান টেস্ট অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা বলেছেন, ‘তার নেতৃত্বে আমার টেস্টে আগমণ। আমার নেতৃত্বে তিনি অবসর নিলেন। আজ লঙ্কান ক্রিকেটের জন্য দুঃখের এক দিন।’