বাংলাদেশের ক্রিকেট বেশ সমালোচিত একটি বিষয় হচ্ছে আম্পায়ারিং ইস্যু। ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক নিত্যদিনের ঘটনা। আম্পায়ারদের দক্ষতা বাড়াতে এবার তাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দেশের আম্পায়ারদের প্রশিক্ষণ দিতে আইসিসির এলিট প্যানেলের সাবেক আম্পায়ার সাইমন টাফেলকে ৩ বছরের জন্য নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিসিবি।
সোমবার (৩০ জুন) বিসিবি পরিচালকদের সভায় যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত এসেছে তার মধ্যে আম্পায়ারদের প্রশিক্ষণের বিষয়টিও রয়েছে। তবে এখনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। আম্পায়ারদের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের জন্য টাফেলের পুরো দল বাংলাদেশে আসবে। বিসিবির লক্ষ্য হচ্ছে তার অধীনে ১৫-২০ জন ভালো মানের আম্পায়ার তৈরি করা।
ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারদের ভুল যেন নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ভুল যতটা না পক্ষপাতমূলক, তার চেয়ে বেশি অদক্ষতার কারণে। দেশি আম্পায়ারদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতেই টফেলকে নিয়ে আসা হচ্ছে। সোমবার বোর্ড মিটিং শেষে এমনটাই জানিয়েছেন, আম্পায়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু।
মিঠু গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরেই টফেলের সাথে যোগাযোগ করেছি। তিনি খুব ব্যস্ত। অবশেষে তিনি আসতে রাজি হয়েছেন। যদিও এখনও চুক্তি হয়নি। তবে সব কিছুই চূড়ান্ত। আগামী তিন বছর তিনি ও তার টিম বাংলাদেশের কাজ করবেন। আশা করি, তার মাধ্যমে আমাদের আম্পায়াররা উপকৃত হবেন।’
খেলোয়াড় হিসেবে খুব নাম কামাতে না পারলেও আম্পায়ার হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন সাইমন টাফেল। ২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৯ সালে তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন এবং ২০০০ সালে টেস্ট আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ পেয়ে যান।
দক্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার কারণে ২০০৩ সালে আইসিসির এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন সাবেক এই অজি ক্রিকেটার। ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টানা পাঁচবার তিনি আইসিসির আম্পায়ার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতেছেন। মোট ৭৪টি টেস্ট, ১৭৪টি ওয়ানডে এবং ৩৪টি আন্তর্জাতিক টি২০তে আম্পায়ারিং করেছেন তিনি।
সোমবারের লম্বা বোর্ড মিটিংয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে প্রায় ১৯ বছর আগে হওয়া অ্যাওয়ার্ড নাইট চালু করা। বোর্ড সভা শেষে বুলবুল এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান। এই অ্যাওয়ার্ড প্রথা চালু আছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে। সাধারণত বছর শেষে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে এসব পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।