আজকের যায়যায়দিন

আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার পারমাণবিক সংঘাতের শঙ্কা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণবিষয়ক দপ্তরের পরিচালক ভস্নাদিমির ইয়েরমাকভ এমন তথ্য দিয়েছেন। তিনি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কোর প্রতি ওয়াশিংটনের ক্রমাগত বিদ্বেষী আচরণের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

ভস্নাদিমির ইয়েরমাকভ বলেন, আমেরিকা যদি রাশিয়ার প্রতি সংঘাতপূর্ণ অবস্থানে অটল থাকে এবং ক্রমাগত সরাসরি সামরিক সংঘাতের দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে নতুন স্টার্ট চুক্তি মুখ থুবড়ে পড়বে। ইয়েরমাকভ আরও বলেন, ওয়াশিংটন যদি বিশ্বের দু'টি শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশের পরিস্থিতিকে সামরিক সংঘাতের দিকে নিয়ে যায়, তখন নতুন স্টার্ট চুক্তির ভাগ্য নয় বরং গোটা বিশ্বের ভাগ্য আশঙ্কার মধ্যে নিপতিত হবে।

২০১০ সালের এপ্রিল মাসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সে সময়কার রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ নতুন স্টার্ট চুক্তিতে সই করেন। ওই চুক্তিতে দুই দেশ তাদের কৌশলগত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে এবং মোতায়েনকৃত কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ১ হাজার ৫৫০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে সম্মত হয়।

২০২১ সালের ফেব্রম্নয়ারি মাসে এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালের ৪ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার রুশ সমকক্ষ ভস্নাদিমির পুতিন।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন / দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়াল আমেরিকায় বিক্ষোভ

তবে গত ২১ ফেব্রম্নয়ারি আমেরিকার সংঘাতপূর্ণ নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে রাশিয়া চুক্তিটি স্থগিত করে দেয়। অবশ্য চুক্তিটি থেকে এখনো বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়নি মস্কো। রাশিয়া বলেছে, চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যার ওপর যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে, তা মেনে চলবে দেশটি। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, পার্স টুডে