শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

বন্যার অজুহাতে সবজির উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন বাজার

  ০৬ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
বন্যার অজুহাতে সবজির উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন বাজার

বন্যার অজুহাতে বেড়েছে বিভিন্ন রকমের সবজির দাম। বাজারগুলোতে আকার ও সবজিভেদে পাঁচ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন সবজি। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বেগুন, করলা ও উচ্ছের দাম। অন্যদিকে সবজির সঙ্গে দাম বেড়ে গেছে লেবু কাঁচা মরিচেরও। ঈদের আগে কাঁচা মরিচ কেজিতে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও তা ফের ২০০-র ঘরে গিয়ে ঠেকেছে। লেবু ঈদের আগে ছিল ১০ টাকা হালি, এখন ২০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দামও কেজিকে ১০ টাকা বেড়েছে। আগে ছিল ৪০ টাকা এখন ৫০ টাকা। এদিকে সবজির উচ্চমূল্য নিয়ে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, বন্যার পাশাপাশি ঈদের পর বাজারগুলোতে সংকট থাকায় বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে সবজির। আর ক্রেতারা বলছেন, যে কোনো ইসু্য পেলেই বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে এখন করলা ও উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে, লম্বা বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ থেকে ১শ টাকা কেজি দরে। কেজিতে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এখন প্রতি কেজি গাজর ৯০ থেকে ১শ টাকা, প্রতি কেজি ঝিঙা-চিচিঙা-ধন্দুল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুরলতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, কাকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুরছড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হালিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি হালি কলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। দাম বেড়ে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চালকুমড়া ৫০ টাকায়। আর শাকের কথা বলাই বাহুল্য। ২০ টাকা আঁটির নিচে কোনো শাক নেই। পুঁই শাক বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা আঁটি। বন্যার অজুহাত তুলে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর চালের দাম তো আগে থেকেই বাড়ানো হয়েছে। অথচ বাজারে পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। এটা হচ্ছে অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজি। আমরা মনে করি, দেশের অসৎ ও অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হলে চলবে না। তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এরা বন্যার সময়ে, করোনাভাইরাস কালেও জনগণের স্বার্থের দিকে নজর দেয় না। কীভাবে অসৎ উপায় অবলম্বন করে দ্রম্নত ধনী হওয়া যায় সেটাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। এই প্রবণতা এখন খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যেও। ব্যবসায়ীদের অতি লোভী মানসিকতার কারণেই দেশের সাধারণ জনগণ তাদের কাছে জিম্মি। বাজার নিয়ে অতীতে অনেক পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, কোনো কাজ হয়নি। বিক্রেতাদের মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এটা সত্যিই হতাশাজনক চিত্র। সরকারের উচিত এই দুর্যোগকালে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা। সামনে সময় আরো কঠিন হতে পারে এই কথা মাথায় রেখে দ্রম্নত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে