মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২
পাঠক মত

মশার যন্ত্রণা থেকে মানুষ মুক্তি চায়

  ০১ মার্চ ২০২৫, ০০:০০
মশার যন্ত্রণা থেকে মানুষ মুক্তি চায়

চট্টগ্রাম নগরীসহ বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নগরী ও গ্রামে মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। সন্ধ্যা হলেই মশার অত্যাচারে কোথাও দাঁড়িয়ে শান্তি নেই। যেদিকে যাওয়া হয় অতিরিক্ত মশার যন্ত্রণায় মানুষ কুপোকাত হচ্ছে। কিন্তু মশা নিধনের তেমন কোনো কার্যক্রম কোথাও দেখা যাচ্ছে না। মশার বংশবিস্তার খুব দ্রম্নত ছড়াচ্ছে- যা উদ্বেকজনক। তাছাড়া, মশার কামড়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে প্রতিনিয়তই রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। বাসা কিংবা অফিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত কয়েল, এরোসল, ধূপ কিংবা ইলেকট্রিক কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো ফলপ্রসূ হচ্ছে না। ভবনের এক তলা কিংবা বারো তলা অথবা বস্তি এলাকা কোথাও মশার অত্যাচারের উদবিগ্ন মানুষ। রাত্রিকালীন আবাসিক মাদ্রাসা, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় ও মসজিদে নামাজ পড়ার মুসলিস্নরা মশার অত্যাচারে ঠিকমতো পড়তে, ঘুমাতে কিংবা ইবাদাতে মনোযোগ দিতে পারছেন না।

মশার উপদ্রব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে- যা অশনিসংকেত। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, খাল-বিল ভরাট, যততত্র নোংরা পরিবেশের কারণে মশার বংশবিস্তার কমানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মশার কামড়ে সংক্রামিত রোগের মধ্যে অন্যতম- ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, হলুদ জ্বর, ইস্টেরেনালাইটিস, ফাইলেরিয়াসিসসহ বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা যায়। প্রতিনিয়ত মশার কামড়ে এসব সংক্রমিত রোগের আক্রমণে কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন রোগীদের মৃতু্যহার বাড়ছে। অতিদ্রম্নত মশার উপদ্রব কমানোর ব্যবস্থা করা না গেলে জনমানবে ভীতির সৃষ্টি হবে।

যততত্র ময়লা-আবর্জনার স্তূপ,খাল-বিলের ভরাট ময়লা এবং নোংরা পরিবেশ তৈরির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ওই সমস্যা সমাধানের দ্রম্নত উপায় বের করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। তাই, বিভিন্ন জেলার সিটি করপোরেশন ও উপজেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দ্রম্নত মশা নিধন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে জনমানবের মনে মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তির আস্বাদনের উপায়ে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ইকরাম আকাশ

ফার্মেসি টেকনিশিয়ান

আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে