২য় অধ্যায়- ২য় পরিচ্ছেদ
শব্দের উচ্চারণ
যাত্রা গল্পের শব্দের অর্থ
আশ্বাস:ভরসা।
ইন্টিরিয়র:ভিতরের দিক।
এফেক্টেড:আক্রান্ত।
কম্বায়োটিক:এক ধরনের ওষুধ।
কাকুতি মিনতি:অনুনয়-বিনয়।
জলসীমা:জলভাগের সীমানা।
টনটন:ব্যথার ভাব।
দিশেহারা:কী করতে হবে বুঝতে না পারা।
প্রিপেয়ার্ড:প্রস্তুত।
ফাঁকফোকর:ছোট-বড় ছিদ্র।
বিভ্রান্ত:দিশেহারা।
মনস্থির করা:সিদ্ধান্ত নেওয়া।
মস্করা:ঠাট্টা।
সওয়ারি:আরোহী।
স্বেচ্ছাসেবক:স্বেচ্ছায় সেবাদানকারী।
শব্দের উচ্চারণ
'যাত্রা' গল্প থেকে কিছু শব্দ এবং এগুলোর প্রমিত উচ্চারণ নিচের ছকে দেওয়া হলো। সহপাঠীদের সঙ্গে শব্দগুলোর উচ্চারণ অনুশীলন করো এবং উচ্চারণ প্রমিত হচ্ছে কি না খেয়াল করো।
শব্দ প্রমিত উচ্চারণ
অনিশ্চিত অনিশ্চিত্
অন্তত অনুতোতো
অসংখ্য অশোঙ্খো
আগ্রহ আগ্গ্রোহো
আত্মীয় আতিয়োঁ
উদ্বিগ্ন উদবিগুনো
অধীর অধির
কান্ড কান্ডো
কিছুক্ষণ কিছুখন
কুন্ডলী কুন্ডোলি
গাড়ি-ঘোড়া গাড়ি-ঘোড়া
জলসীমা জল্শিমা
ঠেলাঠেলি ঠ্যালাঠেলি
ততক্ষণ ততোখন্
নির্ঘুম নির্ঘুম্
প্রলেপ প্রোলেপ্
ফাঁক-ফোকর ফাঁক্-ফোকো
বিশ্রাম বিস্রাম
ভয়ানক ভয়ানোক্
মনস্থির মনোসৃস্থির
মন্তব্য মন্তোব্বো
সাহস শাহোশ্
ভাষারূপের পরিবর্তন
'যাত্রা' গল্পের কথোপকথনের কয়েকটি জায়গায় আঞ্চলিক ভাষারীতির প্রয়োগ করা হয়েছে। গল্প থেকে এ রকম কয়েকটি বাক্য নিচের ছকের বাম কলামে লেখো এবং ডান কলামে বাক্যগুলোর প্রমিত রূপ নির্দেশ করো। কাজ শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে উত্তর নিয়ে আলোচনা করো এবং প্রয়োজনে সংশোধন করো।
ভাষার প্রমিত ও অগ্রমিত রূপ
অঞ্চলভেদে ভাষার ভিন্ন ভিন্ন রূপ থাকে। ভাষার এই রূপ-বৈচিত্র্যকে বলে আঞ্চলিক ভাষা। বাংলাদেশে বাংলা ভাষার অনেকগুলো আঞ্চলিক রূপ আছে। যেমন: খুলনার আঞ্চলিক ভাষা, নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা, সিলেটের আঞ্চলিক ভাষা, ময়মনসিংহের আঞ্চলিক ভাষা, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা, বরিশালের আঞ্চলিক ভাষা, রংপুরের আঞ্চলিক ভাষা ইত্যাদি।
কোনো শব্দ অঞ্চলভেদে আলাদাভাবে উচ্চারিত হতে পারে, কিংবা একই অর্থে আলাদা শব্দের প্রয়োগ হতে পারে। বাক্যের গঠনও অনেক সময়ে আলাদা হয়। আঞ্চলিক ভাষা সাধারণত মানুষের প্রথম ভাষা ্ত এই ভাষাতেই মানুষ কথা বলা শুরু করে এবং ক্রমে সে প্রমিত ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্ত হয়। গল্প-উপন্যাস-নাটকে বিভিন্ন চরিত্রের মুখে আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগ দেখা যায়। তাতে ওইসব চরিত্র অধিক বিশ্ব ও বাস্তব হয়ে ওঠে।
ভাষার এই আঞ্চলিক রূপ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগে কিছু সমস্যা তৈরি করে। সেই সমস্যা দূর করার জন্য ভাষার একটি রূপকে প্রমিত হিসেবে গ্রহণ করা হয়, যাতে সব অঞ্চলের মানুষ তা সহজে বুঝতে পারে। একই কারণে দেশের যাবতীয় আনুষ্ঠানিক যোগাযোগে, শিক্ষা কার্যক্রমে, দাপ্তরিক কাজে, গণমাধ্যমে, সাহিত্যকর্মে ভাষার প্রমিত রূপ ব্যবহৃত হয়। ভাষার এই সর্বজনগ্রাহ্য রূপের নাম প্রমিত ভাষা।
প্রমিত ভাষার দুটি রূপ আছে: কথ্য প্রমিত ও লেখ্য প্রমিত। কথ্য প্রমিত ব্যবহৃত হয় আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলার সময়ে, অন্যদিকে লেখ্য প্রমিত ব্যবহৃত হয় লিখিত যোগাযোগের কাজে।
৩য় পরিচ্ছেদ
লিখিত ভাষায় প্রমিত রীতি
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০) একজন বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস 'পথের পাঁচালি'। এই উপন্যাস থেকে সত্যজিৎ রায় একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন যা আন্তর্জাতিক খ্যাতি পায়। বিভূতিভূষণের উলেস্নখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে- 'অপরাজিত', 'আরণ্যক', 'চাঁদের পাহাড়', 'ইছামতী', 'অশনি সংকেত' ইত্যাদি। নিচের অংশটুকু 'পথের পাঁচালি' থেকে নেওয়া।
অপু জন্মিয়া অবধি কোথাও কখনো যায় নাই। এ গাঁয়েরই বকুলতলা, গোঁসাইবাগান, চালতেতলা, নদীর ধার, বিড়ো জোর নবাবগঞ্জ যাইবার পাকা সড়ক- এই পর্যন্ত তাহার দৌড়। মাঝে মাঝে বৈশাখ কি জ্যৈষ্ঠ মাসে খুব গরম পড়িলে বৈকালে দিদির সঙ্গে নদীর ঘাটে গিয়া দাঁড়াইয়া থাকিত। আজ সেই অপু সর্বপ্রথম গ্রামের বাহিরে পা দিল। কয়েকদিন হইতেই উৎসাহে তাহার রাত্রিতে ঘুম হওয়া দায় হইয়া পড়িয়াছিল। দিন গনিতে গনিতে অবশেষে যাইবার দিন আসিয়া গেল।
রেলের পথ গল্পের শব্দের অর্থ
অগ্রসর: সামনে যাওয়া।
অবধি: পর্যন্ত।
আবদ্ধ থাকা: আটকে থাকা।
একদৃষ্টে: অপলক চোখে।
গনিতে গনিতে: গুনতে গুনতে।
ঝাপসা: অস্পষ্ট।
ফটক: সদর দরজা।
রাঙ্গী গাই: লাল রঙের গাভি।
শোলা গাছ: জলাভূমিতে উৎপন্ন গুল্ম জাতীয় গাছ।
সতৃষ্ণ দৃষ্টি: আগ্রহী চোখ।
হোগলা: জলাভূমিতে উৎপন্ন তৃণ জাতীয় উদ্ভিদ।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়