৪৭. পানি ফুটতে শুরু করার পর আরও কতক্ষণ তাপ দিলে পানিতে থাকা জীবাণু মারা যায়?
ক. ১৫ মিনিট খ. ২০ মিনিট
গ. ৩০ মিনিট ঘ. ৪০ মিনিট
উত্তর: খ. ২০ মিনিট
৪৮. নলকুপের পানি সাধারণত কেমন হয়?
ক. দূষিত খ. নিরাপদ
গ. খোলা ঘ. ময়লা
উত্তর: খ. নিরাপদ
৪৯. ডায়রিয়া কোন ধরনের রোগ?
ক. বায়ুবাহিত খ. পানিবাহিত
গ. পতঙ্গবাহিত ঘ. ছোয়াঁচে
উত্তর: খ. পানিবাহিত
৫০. ঘূর্ণিঝড়ের সময় পানি শোধন করার র্সবোত্তম উপায় কোনটি?
ক. থিতানোর মাধ্যমে খ. ছাঁকন প্রক্রিয়ায়
গ.ফুটানোর মাধ্যমে ঘ. রাসায়নিক পর্দাথ মিশিয়ে
উত্তর: ঘ. রাসায়নিক পর্দাথ মিশিয়ে
\হপ্রথম অধ্যায়
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন:খাদ্য জাল ও খাদ্য শৃঙ্খলের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর :বাস্তুসংস্থানে উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে শক্তি প্রবাহের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার নাম খাদ্যশৃঙ্খল। অন্যদিকে একাধিক খাদ্য শৃঙ্খল একত্রিত হয়ে খাদ্যজাল তৈরি হয়। যেকোনো বাস্তুসংস্থানে একটিমাত্র খাদ্যজাল থাকে। যেকোনো বাস্তুসংস্থানে একাধিক খাদ্যশৃঙ্খল থাকতে পারে।
প্রশ্ন: উদ্ভিদ কীভাবে প্রাণীর উপর নির্ভরশীল?
উত্তর : উদ্ভিদ খাদ্য তৈরিতে প্রয়োজনীয় কার্বন ডাইঅক্সাইডের জন্য এবং বৃদ্ধি, পরাগায়ন ও বীজের বিস্তরণের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন: মানুষ নির্ভর করে এমন তিনটি জড় বস্তুর উদাহরণ দাও।
উত্তর : মানুষ নির্ভর করে এমন তিনটি জড় বস্তু হলো : মাটি, পানি ও বায়ু।
প্রশ্ন: পরাগায়ন কী?
উত্তর:ফুলের পরাগরেণু পরাগধানী হতে একই ফুলের অথবা একই প্রজাতির অন্য ফুলে গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পরাগায়ন বলে।
প্রশ্ন: মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব কেন?
উত্তর : বুদ্ধি ও জ্ঞানের জন্যই মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব।
প্রশ্ন: ক্লোরোফিল কী?
উত্তর : উদ্ভিদের পাতায় যে সবুজ কণিকা বিদ্যমান থাকে তাই ক্লোরোফিল।
প্রশ্ন: উদ্ভিদ ও প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য যে যে উপাদান প্রয়োজন, সেগুলোর দুইটির নাম লিখ।
উত্তর : উদ্ভিদ ও প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য যে যে উপাদান প্রয়োজন, সেগুলোর দুইটির নাম হলো : র. সূর্যালোক; রর. বায়ু।
প্রশ্ন:খাদ্য শৃঙ্খলের একটি উদাহরণ লেখ।
উত্তর :খাদ্য শৃঙ্খলের একটি উদাহরণ- তৃণজাতীয় উদ্ভিদ মঘাস ফড়িং মব্যাঙ মসাপ মঈগল।
প্রশ্ন: খাদ্যজাল কী?
উত্তর : বাস্তুতন্ত্রে কয়েকটি খাদ্য শিকল একত্রিত হয়ে জালের মতো যে গঠন তৈরি করে সেটিই খাদ্যজাল।
প্রশ্ন: পরিবেশের উপর জীবের নির্ভরশীলতার একটি উদাহারণ দাও।
উত্তর :পরিবেশের উপর নির্ভলশীলতার একটি উদাহারণ হলো:পরিবেশের বায়ু থেকে সকল প্রাণী শ্বাসগ্রহণের মাধ্যমে অক্সিজেন নেয়। এই অক্সিজেন গ্রহণ ব্যতীত কোনো প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না। সুতরাং শ্বাসকার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল প্রাণী পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন: সকল প্রাণী কিসের উপর নির্ভরশীল?
উত্তর:সকল প্রাণী শক্তির জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন: প্রাণী শ্বাস গ্রহণের সময় কী ব্যবহার করে?
উত্তর : প্রাণী শ্বাস গ্রহণের সময় উদ্ভিদের ত্যাগ করা অক্সিজেন ব্যবহার করে।
প্রশ্ন: কিসের ফলে উদ্ভিদের বীজ সৃষ্টি হয়?
উত্তর :পরাগায়নের ফলে উদ্ভিদের বীজ সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন: বীজের বিস্তরণ কী?
উত্তর : মাতৃউদ্ভিদ থেকে বিভিন্ন স্থানে বীজের ছড়িয়ে পড়াই হলো বীজের বিস্তরণ।
প্রশ্ন: যেকোনো বাস্তুসংস্থানে কী থাকে?
উত্তর : যেকোনো বাস্তুসংস্থানে অনেকগুলো খাদ্যশৃঙ্খল থাকে।
প্রশ্ন: খাদ্যজাল কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তর :একাধিক খাদ্য শৃঙ্খল একত্রিত হয়ে খাদ্যজাল তৈরি হয়।
প্রশ্ন: প্রাণী শক্তি পায় কোথায় থেকে?
উত্তর : প্রাণী শক্তি পায় উদ্ভিদ থেকে।
প্রশ্ন: নতুন উদ্ভিদ জন্মায় কীসে থেকে?
উত্তর : নতুন উদ্ভিদ জন্মায় বীজ থেকে।
প্রশ্ন: শক্তির উৎস কী?
উত্তর : শক্তির উৎস সূর্য।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
প্রশ্ন: খাদ্যশৃঙ্খলে কীভাবে সাপ এবং ঈগল একই রকম তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:খাদ্য শৃঙ্খলে সাপ এবং ঈগল উভয়ই মাংসাশী প্রাণী বলে তারা একই রকম অর্থাৎ একই স্তরের খাদক। সকল প্রাণীই শক্তির জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। সবুজ উদ্ভিদ থেকেই প্রতিটি খাদ্য শৃঙ্খলের শুরু। উদ্ভিদ সূর্যের আলো ব্যবহার করে নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করে। বাস্তুসংস্থানে উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে শক্তি প্রবাহের এই ধারাবাহিক প্রক্রিয়াকে খাদ্য শৃঙ্খল বলে। পোকামাকদ উদ্ভিদ খেয়ে বেঁচে থাকে। আবার ব্যাঙ পোকামাকড়কে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। একইভাবে সাপ ব্যাঙ খায় ও ঈগল সাপ খায়। সুতরা সাপ ও ঈগল উভয়ই মাংসাশী প্রাণী এবং উভয়ই সর্বোচ্চ স্তরের খাদক। তাই খাদ্য শৃঙ্খলে সাপ ও ঈগল একই রকম।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়