শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
সাক্ষাৎকার

মনপুরার মতো সিনেমার অপেক্ষায় আছি

ফারহানা মিলি- টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে মডেলিং ও উপস্থাপনাতেও দেখা যায় তাকে। ২০০৯ সালে গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত 'মনপুরা' সিনেমাটি তাকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। এরপর আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে। মাঝখানে ২০১১ সালে বিয়ের পর অভিনয় কমিয়ে দিয়ে স্বামী-সংসার ও সন্তান নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে খুব বেছে বেছে অভিনয় করছেন তিনি। চলমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে যায়যায়দিনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি-
নতুনধারা
  ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
ফারহানা মিলি

ফুরফুরে মেজাজেই আছি...

বেশ ভালোই কাটছে নতুন বছরের শুরুটা। এই কনকনে শীতের মধ্যেও জামালপুরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে দুই দিন নিজের মতো ঘুরে আজ (রোববার) ঢাকায় ফিরলাম। অনেকদিন পর ট্রেন জার্নি করে বেশ উচ্ছ্বাস কাজ করছিল মনে। জামালপুরে মা, ভাই, ভাবী এবং আমার সন্তান রুসলানও ছিল এই ভ্রমণের সঙ্গী। যদিও প্রচন্ড এই শীতে সময়টাকে ঠিকঠাক মতো উপভোগ করা একটু কষ্টকরই ছিল, তারপরও একদম গ্রামীণ পরিবেশে গিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিলাম ও আছি।

বছরের শুরুটা ভালোই কাটল...

নতুন বছরের শুরুতেই কামরুল হাসানের রচনায় ও গোলাম হাবিব লিটুর পরিচালনায় 'পথের মানুষ ঘরের মানুষ' শিরোনামের একটি নাটকে কাজ করেছি। এতে আমার সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন প্রাণ রায়। বছরের শুরুতেই প্রচন্ড শীতের মধ্যেই নাটকটির শুটিং সম্পন্ন করতে হয়েছে। বছরের শুরুটা আলহামদুলিলস্নাহ বেশ ভালোভাবেই কাটছে। একটি সুন্দর গল্পের কাজ করলাম। অনেকদিন পর প্রাণ দাদার সঙ্গে অভিনয় করেছি। লিটু ভাই অনেক যত্ন নিয়ে কজটি করার চেষ্টা করেছেন।

শেষটাও ছিল দারুণ...

২০২২ সালের শেষটাও ছিল বেশ উপভোগ্য। বছরের শেষপ্রান্তে উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার হাত থেকে 'এক ছবিতেই ইতিহাস' শীর্ষক সম্মাননা লাভ করি 'স্টারপস্নাস কমিউনিকেসন'-এর পক্ষ থেকে। দীর্ঘদিন পর রুনা লায়লার হাত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করা দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিল আমার জন্য। বছরের একদম শেষপ্রান্তে এবি রোকনের পরিচালনায় শেষ করেছি 'বিয়ে বাণিজ্য' নামে একটি নাটকের কাজ।

আগে পরিবার, তারপর কাজ...

আমি সবসময়ই পরিবারকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে আসছি। আগে পরিবার, তারপর কাজ। স্বামী চাকরি করেন। সব মিলিয়ে পরিবারকে সময় দিয়ে যতটুকু পারি অভিনয়ের জন্য সময় বের করি। সবকিছু সামলে আমাকে কাজ করতে হয়। সবকিছু সামলাতে গিয়ে এখন তো আর আগের মতো এনার্জিও পাই না। এ জন্য ঢাকার বাইরে কম যাওয়া হয়। তারপরও চেষ্টা করি।

সেরকম কোনো গল্প পাইনি...

অনেকেই বলেন ২০০৯ সালে 'মনপুরা' সিনেমা এত আলোচিত ও ব্যবসাসফল হওয়ার পরও কেন আর চলচ্চিত্রে অভিনয় করছি না। এই প্রশ্নে বরাবরই আমি একটা কথাই বলে আসছি, সেটা হলো বড় পর্দায় কাজ করার মতো সেরকম কোনো গল্প বা চরিত্র পাইনি। টুকটাক প্রস্তাব পেয়েছি, তবে গল্প আর চরিত্র মনঃপূত না হওয়ায় চলচ্চিত্রে আর অভিনয় করা হয়নি। অপেক্ষায় আছি মনপুরার মতো ভালো ও সুন্দর পরিপাটি একটি চিত্রনাট্য, চরিত্রের।

সবসময়ই কম কাজ করি...

একসঙ্গে অনেক নাটকের ব্যস্ততা আমার কখনোই ছিল না। আমি সবসময়ই কম কাজ করেছি। সিরিয়াল কম করি। এখন আগের চেয়ে বেশি টেলিভিশন চ্যানেল হয়েছে, এসব কারণে মনে হতে পারে, আমার উপস্থিতি কম। আর করোনার মধ্যে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেছি। শুটিংয়ের টিম ছোট কি না, সেগুলো বুঝেই কাজ করেছি। করোনা পরিস্থিতি ভালো না হলে আমি আর বেশি কাজ করতে চাই না।

ভালো-মন্দ দুটোই হচ্ছে...

এখনকার নাটকে বেশ একটা পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনে ভালোও আছে, কিছু ক্ষেত্রে খারাপও আছে। পেছনে তাকালে দেখা যায়, অভিনয়ের ধরনে পরিবর্তন এসেছে। পাঁচ বছর আগের কথাও যদি বলি, সেই তুলনায় ভালো গল্প কমে গেছে। এখন কম সময়ে তাড়াহুড়ো করে কাজ শেষ করার প্রবণতা থাকে। মানহীন কাজও হচ্ছে। তবে সেটা হতাশ হওয়ার মতো কিছু নয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে