সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

সঙ্গীতাঙ্গনেও কমবেশি পলিটিক্স হয়

জাকিয়া সুলতানা কর্নিয়া- 'পাওয়ার ভয়েজ'খ্যাত তরুণ প্রজন্মের আলোচিত কণ্ঠশিল্পী। গানের কনসার্টে তার বেশ ডিমান্ড রয়েছে। কনসার্টে বহুমাত্রিক কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পপ, ফোক, রোমান্টিকসহ প্রায় সব ধরনের গান করেন তিনি। কনসার্ট মৌসুমের বাইরে মৌলিক গান নিয়েও কাজ করেন। জিঙ্গেল, কভারসংসহ বেশকিছু পেস্ন-ব্যাকও করেছেন। গানে বর্তমান ব্যস্ততাসহ নানা বিষয়ে এ শিল্পীর সাথে কথা বলেছেন, মাতিয়ার রাফায়েল
নতুনধারা
  ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

নতুন কী গান করছেন এখন?

সামনে কয়েকটি প্রোগ্রাম আছে। তবে এখন নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণে গানের প্রোগ্রাম কিছুটা কম। তা ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা বিশেষ করে অবরোধ, হরতাল এগুলো তো আছেই। এরমধ্যেও অবশ্য বিজয় দিবসকে সামনে রেখে সামনে একটি দেশাত্মবোধক গান আনছি আমিসহ চার শিল্পী। এই গান একটা ইউটিউব চ্যানেলে রিলিজ পাবে। তবে কোন ইউটিউব চ্যানেলে রিলিজ পাবে এই মুহূর্তে মনে নেই।

স্টেজ শো নিয়ে সমস্যা গেলেও নিশ্চয় টিভি লাইভ শো চলছে?

হঁ্যা, তা তো চলছেই। এরমধ্যে আরটিভি, এটিএন এ লাইভ শো করেছি। আরও কয়েকটি লাইভ শো নিয়ে কথাবার্তা চলছে। হয়তো বা শিগগিরই এগুলোও হয়ে যাবে। এ ছাড়া আর কিছু টক শো জাতীয় কিছু প্রোগ্রামের রেকর্ড হয়ে গেছে। সেগুলোও যে কোনো সময় ওয়ান বাই ওয়ান দেখা যাবে।

আপনাদের প্রজন্মের অনেকেই পেস্ন-ব্যাক করছেন। আপনার কম কেন?

হয়তো আমি তাদের মতো ভালো গাইতে পারি না- সেজন্য হয়তো আমার পেস্ন-ব্যাক কম। হয়তো আমি তাদের কাছে সে রকম যোগ ্য হয়ে উঠতে পারিনি। তবে, আমি জানি না কেন আমার পেস্ন-ব্যাক কম হচ্ছে। সেটা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। কারণ, আপনারা আমাদের চেয়ে বেশি জানেন। তবে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের মতো সঙ্গীতাঙ্গনেও কমবেশি পলিটিক্স হয়। জানি না আমি এর শিকার কিনা।

স্টেজে তো সব গানই করেন। কোন গান শ্রোতারা বেশি পছন্দ করে?

ফোক গানের প্রতিই শ্রোতাদের আগ্রহ বেশি। ফোক গানই তারা অন্যান্য গানের তুলনায় বেশি এনজয় করেন। আমি তো রক, পপ, ফোক, আধুনিক, দেশাত্মবোধক, ইংরেজি, বাংলা, ফ্রেঞ্চ- সব গানই করি। সে অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি শ্রোতারা ফোক গান যখন শোনেন তখন তারা অনেক বেশি ইমোশনাল হয়ে পড়েন এবং নেচে গেয়ে বেশ উপভোগ করেন। আমি এ বছরই ঈদে প্রথম বারের মতো আমার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ফোক গান প্রকাশ করি। এ ছাড়া দর্শক-শ্রোতা ফিল্মের গানও খুব পছন্দ করে। তবে আগের কালের ফিল্মের জনপ্রিয় গানগুলোই পছন্দ করে বেশি। বর্তমান সময়ের ফিল্মের গান নয়।

আপনি যা গান করেন সবই তো উঠতি বয়সিদের জন্য- কী বলেন?

আসলে আমি প্রায় সব গানই উঠতি বয়সিদের জন্য গেয়ে থাকি। যখন স্টেজ শোতে পা রাখি তখন তরুণদের ডিমান্ড মাথায় রেখেই গান করি এবং ফাস্ট গান করি। কারণ, ফাস্ট গানের তালে তালে তরুণদের উন্মাদনা আমার খুবই ভালো লাগে। তবে দিন শেষে গান কিন্তু সবার জন্যই। যে ঘরানার গানই হোক সব শ্রেণির দর্শক-শ্রোতারাই কিন্তু তা শোনেন। এটা ঠিক, একেক জনের কাছে একেক ধরনের গান ভালো লাগে। শিল্পীরাও একেক জন একেক ঘরানার গান গাইতে পছন্দ করেন।

এক সময় দেশাত্মবোধক গানের জনপ্রিয়তা অনেক ছিল- এখন কম কেন?

দেশাত্মবোধক গান হয় কিন্তু। দেখা গেল আর্মিদের কোনো প্রোগ্রামে তারা প্রথমেই দেশাত্মবোধক গান গাইতে বলেন। দেশাত্মবোধক গান দিয়ে শুরু করার পরই অন্যান্য গান করা হয়। এ ছাড়া পহেলা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস প্রভৃতি দিনগুলোতেও দেশাত্মবোধক গান গাওয়া হয়।

এ তো দেশের বিশেষ দিনগুলোতেই সীমাবদ্ধ- অন্যান্য সময়ে তো হয় না!

একেবারে যে হয় না তা নয়। হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়। একটি স্টেজ শো'তে ভেরাইটিজ গানই হয়। শুধু একই ঘরানার গান হয় এমন নয়। সেখানে যেমন ফোক আছে, রক আছে, পপ, আধুনিক, রিমিক্স, দেশাত্মবোধক- সব গানই হয়। হয়তো কম হয়। হয় না এমন নয়। আমিও দেশাত্মবোধক গান করি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে