নতুন কাজ কেমন চলছে এখন?
আমি এমনিতেই অভিনয় কম করি। এর মধ্যে 'বালিঘর' নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি অনেকদিন ধরে। এতে আমি ছাড়াও আছেন চিত্রলেখা গুহ, মোমেনা চৌধুরীসহ নতুন একঝাঁক অভিনয় শিল্পী। এটি পরিচালনা করছেন কলকাতার নির্মাতা বিজয় জানা। লিখেছেন কলকাতারই একজন লেখক। এটা গত বছর মে'তে চালু হওয়া নতুন টিভি চ্যানেল গ্রিন টিভিতে প্রচারিত হবে। এ ছাড়া আমারই লেখা ও নির্দেশনায় গাছগাছালির ওপর একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করেছি। এটির প্রযোজনা করেছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
অভিনয় কম করার কারণ কি?
আসলে মিডিয়ার এই পরিবেশ আমার ভালো লাগে না। আমি আমার ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি নিয়েই অনেক ভালো আছি। এ ছাড়া আমার আরও অন্যান্য কাজ আছে। আর এখন মিডিয়ায় যে রকম বৈষম্যমূলক অবস্থা বিরাজ করছে সেটা আমার ভালো লাগে না। আসলে আমরা একটা ভালো পরিবেশ তৈরি করতে পারিনি- আমরা ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজ তৈরি করতে পারিনি- এটা আমাদেরই ব্যর্থতা। এই বৈষম্য শুধু যে আজকের তাও নয়- এই বৈষম্য আগেও ছিল। যেমন দেখে আসছি তাতে এটাই পরিষ্কার- এই বৈষম্য সবসময়ই থাকবে।
আপনার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারই প্রমাণ করে আপনি একজন শক্তিমান অভিনেতা।
এটা ঠিক আমাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়েছে আমি যাতে অভিনয়ের প্রতি আরও বেশি অনুপ্রাণিত হই। কিন্তু সেই কাজের পরিবেশ কোথায়? যদি সে রকম চরিত্র না পাই, গল্প না পাই কোথায় কাজ করব? এখানে মিডিয়াও তো সিনিয়র আর্টিস্টদের গুরুত্ব দিতে চায় না। এখানে অর্বাচীন বয়সিদেরই গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ জন্য মিডিয়া থেকেও দূরে থাকছি। তার মানে এই নয়, আমি মিডিয়ার প্রতি অকৃতজ্ঞ। মিডিয়া আমাকেও অনেক কভারেজ দিয়েছে। সেজন্যও কৃতজ্ঞ।
এর মধ্যেও তো অনেকে লড়াই করে অভিনয় করছেন।
কিন্তু মিডিয়া যদি আমাদের প্রয়োজন মনে না করে তা হলে কী করে অভিনয় করি। এটা ঠিক আছে যে, দর্শক এখনো আমাদের কথা বলেন। যেখানেই যাই সেখানেই দর্শক হাত তুলে সম্মান জানান। তারা বলেন আমার অভিনয় অনেক ভালো লাগে। আমার অভিনয় আরও বেশি দেখতে চান। কিন্তু দর্শক আমাদের গুরুত্ব বুঝলেও মিডিয়া যদি আমাদের গুরুত্ব না বোঝেন তখন কী করি?
নতুন কোনো সিনেমায় আসছেন তো!
নতুন সিনেমার জন্য কথাবার্তা চলছে। আমি তো এমনিতেই কম চলচ্চিত্রে অভিনয় করি। এর মধ্যে মুক্তির অপেক্ষায় আছে এইচ আর হাবিবের সাইন্স ফিকশনধর্মী সিনেমা 'জলকিরণ'। এভাবেই বছরে এক-দুটো সিনেমায় কাজ করে হয়ে যায় আমার। যা করি সবই সিলেক্টিভ।
একটি সিনেমা নির্মাণ করবেনও বলেছিলেন।
সেটার জন্য কোনো প্রযোজক না পাওয়ায় হয়নি। শাহরিয়ার কবিরের লেখা শিশুতোষ গল্প 'নিকোলাস রোজারিওর ছেলেরা' অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শেষ হয়েছে বহু আগেই। শিশুদের নিয়ে কিছু একটা করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম আমার গুরু এসএম সুলতানের কাছে। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বানাতে পারছি কই।