বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

১১ বছরের সংসার ভাঙতে চলেছে এষার!

বিনোদন ডেস্ক
  ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
এষা দেওল

হালে একের পর এক সাফল্য পাচ্ছেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির খ্যাতনামা পরিবার দেওলরা। ধর্মেন্দ্রের প্রথম পক্ষের সন্তান সানি দেওল ও ববি দেওল নিজের পুরনো জায়গা ফিরে পেয়েছেন বলিউডে। দুই ভাইয়ের সাফল্যে খুশি দেওল পরিবার। ঠিক সেই সময় জোর গুঞ্জন ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনীর কন্যা এষা দেওলকে নিয়ে। বলিউড অভিনেত্রী হিসেবে এষা দেওল একটা সময়ে বেশ ব্যস্ত সময়ই পার করছিলেন। ২০০২ সালে 'কোই মেরে দিল সে পুছে' নামের চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্পে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। যা দেওল চলচ্চিত্র সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ায় এবং তার অভিনয় জীবনে অনেকগুলো পুরস্কার বয়ে আনে। যশরাজ ফিল্মসের 'ধূম' খ্যাতি এনে দিয়েছিল অভিনেত্রীকে। শেষ তাকে দেখা গিয়েছিল রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের 'কেকওয়াক' ছবিতে।

তবে সংসারী হওয়ার পর থেকে অভিনয়ে তাকে খুব একটা দেখা যাচ্ছিল না। অভিনয় থেকে এরকম একটা বিরতিকালীন সময় পার করতে থাকা অবস্থাতেও ফের বড়পর্দায় ফিরেছিলেন এই অভিনেত্রী। সেই সিনেমাটির নাম ছিল 'মাইন'। অ্যাকশন ড্রামা ধাঁচের এষার এই সিনেমাটি নির্মাণ করেন শচিন শ্রফ। প্রযোজনায় ছিল ইউভি ফিল্মস। এছাড়া এ সময়ে তিনি সিনেমার প্রযোজনাতেও নাম লেখান বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। এরপর প্রযোজক হয়েই বাজিমাত করেন এষা দেওল। এনে দেন দেওল পরিবারে সুখের সময়। সানি দেওল'র 'গদর ২' যা 'পাঠান'কে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। ছবিটিতে তিনি প্রমাণ করেছেন, তার 'ধাই কিলো কে হাত' ঠিক কতটা ভারী বলিউডে। এরপর আরও ম্যাজিক দেখান এষা। প্রযোজক হিসেবে হাতেখড়ি দিয়েই হাতিয়ে নিলেন জাতীয় পুরস্কার। তার প্রথম ছবি 'এক দুয়া' ৬৯তম জাতীয় পুরস্কারে নন-ফিচার ফিল্ম বিভাগে সম্মানিত হয়েছে। দাপটের সঙ্গে অভিনয়ও করেছেন ছবিটিতে এষা।

ধর্মেন্দ্রর আগের পক্ষের পরিবারের সঙ্গে বরাবরই যোগসূত্র ধরে রেখেছিলেন এষা। দাদা সানি দেওলের এই ছবির বিশেষ প্রদর্শনের আয়োজন করেছেন এষা। পরিবার আলাদা হলেও সানি ও এষার মধ্যকার সম্পর্ক কোনো দিনই তিক্ত ছিল না।

একদিন 'গদর ২' ছবির উদ্দেশে দেওয়া এক পার্টিতে ববি দেওলের সঙ্গে হাজির হন সানি। দাদার ওই সাফল্যে খুশি এষা। এ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে এষা বলেন, 'আমি জানি, এই ছবির জন্য তিনি ঠিক কতটা শ্রম দিয়েছেন। এই সাফল্যের মূল্য দাদার কাছে কতটা আমি জানি। এই ছবি ভালো করেছে বলে আমরা সবাই খুব খুশি। এই কৃতিত্বের যোগ্য ও। 'গদর ২'-এর মতো ছবি করতে একমাত্র সানি দেওলই পারে।'

কিন্তু অভিনয়, প্রযোজনা সব মিলিয়ে যখন একটা সুখের অনুভূতিতে নতুন বছরটিও পার করছিলেন তখনই টের পাইতে থাকেন সংসার ভাঙতে বসেছে তার। ২০১২ সালের জুন মাসে হিরা ব্যবসায়ী ভরত তখতানির সঙ্গে বিয়ে হয় এষার। ২০১২ সালে দীর্ঘদিনের প্রেমিক ভরত তখতনির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এষা। এরপর সন্তান এবং সংসার নিয়ে কিছুটা ব্যস্ত হয়ে পড়েন এই অভিনেত্রী। করোনাকালীন লকডাউনকে কাজের লাগিয়ে একটি বইও লিখেছেন তিনি। নাম 'আম্মা মিয়া'।২০১৭ সালে প্রথম সন্তান রাধ্যার জন্ম দেন অভিনেত্রী। তার দু'বছর পর দ্বিতীয় সন্তান মীরার জন্ম। সাজানো-গোছানো সংসার। এবার সেটাই ভাঙতে বসেছে।

গেল বছর প্রায় সবক'টি অনুষ্ঠানে একাই এসেছেন এষা। হেমা মালিনীর জন্মদিন থেকে শুরু করে বলিউডের সব বিয়ের অনুষ্ঠানে, সব জায়গায় একা এষা। যদিও দেওল পরিবারের সবক'টি অনুষ্ঠানে এষাকে দেখা যেত তার স্বামীর সঙ্গে। গত কয়েক মাস ধরেই মনোমালিন্য চলছে। শোনা যাচ্ছে, দুই মেয়েকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে থাকেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি আইরা খানের বিয়ের অনুষ্ঠানে মায়ের সঙ্গে দেখা যায় এষাকে। এমনকী অভিনেত্রীর জন্মদিনেও দেখা মেলেনি তার স্বামীর।

সমালোচকদের দাবি, এষার স্বামী নাকি বেঙ্গালুরুতে তার প্রেমিকার সঙ্গে একত্রে বাস করছেন। এমন নানা জল্পনা এখন মায়ানগরী জুড়ে। যদিও এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি এষা বা ভরতের কেউই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে