সালমান খানের পর এবার হত্যার হুমকি পেলেন শাহরুখ খান। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কাছ থেকে হুমকি এসেছে বলে জানা গেছে। গতকাল সেই মর্মে অভিযোগ দায়ের হয়েছে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা থানায়। এই নিয়ে আরও এক বলিউড তারকা হত্যার হুমকি পেলেন। কে বা কারা এর নেপথ্যে রয়েছে, তা নিয়ে

তদন্ত শুরু হয়েছে।

মুম্বাই পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড় থেকে শাহরুখের উদ্দেশে হুমকি বার্তা এসেছে। মুম্বাই পুলিশ ইতোমধ্যেই রায়পুর পৌঁছে গিয়েছে। ফয়জন খান নামের এক ব্যক্তির খোঁজে তলস্নাশি শুরু করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত ফোন থেকেই হুমকি এসেছে বলে খবর। ওই ফোন নম্বরটি এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং তার টাওয়ার লোকেশন ধরেই পুলিশ এগোচ্ছে বলে খবর। শাহরুখকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কয়েক কোটি টাকার দাবি মেটালে তবেই নিস্তার পাবেন বলে এসেছে হুমকি।

বেশ কিছুদিন ধরে লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে চলেছেন সালমান খান। তাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার নেপথ্যে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং তার গ্যাং বিষ্ণোইর নাম জড়িয়েছে। পাশাপাশি আরও একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কয়েক দশক আগের কৃষ্ণসার হরিণ মামলাকে হাতিয়ার করে সালমানকে হুমকি দিয়ে চলেছে এই গ্যাং। প্রাণে বাঁচতে চাইলে অভিনেতাকে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে তারা।

গত কয়েক বছরে বিষ্ণোই গ্যাং বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার পরই খবরের শিরোনামে উঠে আসে তারা। সেই থেকে একাধিক শিল্পী তাদের থেকে হুমকি পেয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার সালমানকে খুনের হুমকি দিয়ে চলেছে তারা। এমনকি সালমানের বাড়ির বাইরে এলোপাতাড়ি গুলিও চালায় তারা। গত ১২ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিও আততায়ীদের গুলিতে মারা যান।

\হবাবা সিদ্দিকি এবং তার পরিবারের লোকজন সালমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বাবা সিদ্দিকি খুন হওয়ার পর, তার দায় স্বীকার করে বিষ্ণোই গ্যাং। সালমান ঘনিষ্ঠ বলেই বাবা সিদ্দিকিকে প্রাণ খোয়াতে হলো বলে দাবি করে তারা। শুধু তা-ই নয়, সালমানের পাশে দাঁড়াবেন যারা, তাদের সবারই একই পরিণতি হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। বাবা সিদ্দিকির ছেলে, মহারাষ্ট্রের বিধায়ক জিশান সিদ্দিকিও খুনের হুমকি পেয়েছেন ইতোমধ্যে। এবার শাহরুখ খুনের হুমকি পেলেন। শাহরুখ এবং সালমানের বন্ধুত্ব সর্বজনবিদিত। সেই জন্যই তাকে হুমকি দেওয়া হলো কিনা প্রশ্ন উঠছে।