বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে মসজিদে বোমা হামলায় ৫ জেএমবি সদস্যের মৃতু্যদন্ড

ম যাযাদি ডেস্ক
  ১৮ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে মসজিদে বোমা হামলা মামলায় জেএমবির পাঁচ সদস্যকে মৃতু্যদন্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত। বুধবার চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইবু্যনালের বিচারক আবদুল হালিম এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন এম সাখাওয়াত হোসেন (নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য), আবদুল মান্নান, রমজান আলী, বাবুল রহমান রনি ও আবদুল গাফফার। এদের মধ্যে আবদুল মান্নান ও আবদুল গাফফার আপন ভাই। এছাড়াও দন্ডিত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত।

দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সাখাওয়াত পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা আগে থেকেই কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার জুমার পরে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরের দুটি মসজিদে ১০ মিনিটের ব্যবধানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে সামরিক-বেসামরিক মিলে ২৪ জন আহত হন। ঘটনার নয় মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরীর ইপিজেড থানায় মামলা করেন। এতে নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান ও রমজান আলী এবং বাবুল রহমান রনিকে মামলায় আসামি করা হয়। পরে তদন্তে আবদুল মান্নানের ভাই আবদুল গাফফারের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ।

২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ৫ জনকে আসামি করে আদালতে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন ইপিজেড থানার তৎকালীন পরিদর্শক মুহাম্মদ ওসমান গণি। দুই অভিযোগপত্রে ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।

ট্রাইবু্যনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ বলেন, মামলার অভিযোগপত্রে ২৪ জনকে সাক্ষী করা হলেও ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। একই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া পৃথক অভিযোগের বিচার অন্য আদালতে চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে