বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

এবার হজের কোটা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে মন্ত্রণালয়

চতুর্থ দফায় নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৬ মার্চ পর্যন্ত
বিশেষ প্রতিনিধি
  ০৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
এবার হজের কোটা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে মন্ত্রণালয়

হজ প্যাকেজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে হজের কোটা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তৃতীয় দফায় সময় বাড়িয়েও হজযাত্রী নিবন্ধন সম্পূর্ণ করা যায়নি। একাধিকবার সময় বাড়িয়েও কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। নির্ধারিত কোটার অর্ধেকও পূরণ না হওয়ায় চলতি বছর হজে যেতে নিবন্ধনের সময় আরও ৯ দিন বাড়ানো হয়েছে।

গত বছরের তুলনায় এ বছর হজযাত্রীদের ফ্লাইট ভাড়া বেড়েছে ৫৮ হাজার টাকা, সব মিলিয়ে হজের খরচ বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ। এভাবে হজের খরচ বৃদ্ধি হওয়ায় মানসিক ও আর্থিক চাপে পড়েছেন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সরকারি ও বেসরকারি প্যাকেজে প্রায় ৭ লাখ টাকার মতো খরচ ধরা হলেও কোরবানি ও খাবার বাবদ ৮ থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা খরচ হবে একজন হজযাত্রীর। এমন অস্বাভাবিক প্যাকেজের জন্য বিমান ভাড়া বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে এবার হজের কোটা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কোটা পূরণ হলে হজযাত্রী পরিবহণে হযবরল অবস্থা হতে পারে। এর আগে প্রথম দফায় ২২ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধনের সময় দেওয়া হয়েছিল। হজযাত্রী না পাওয়ায় পরে সেটি বাড়িয়ে দ্বিতীয় দফায় ২৮ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছিল। সেই সময় শেষ হওয়ার পরও

হজযাত্রীদের ব্যাপক সাড়া না পেয়ে তৃতীয় দফায় হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয় ৭ মার্চ পর্যন্ত। তৃতীয় দফায় অর্ধেক হজযাত্রী নিবন্ধন করেননি। এমন অবস্থায় চতুর্থ দফায় আবারও সময় বাড়ানো হয়েছে। হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সময়সীমা বাড়ানো হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ২৪২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৯৪১ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এখনো কোটার অর্ধেকের বেশি খালি রয়েছে।

এতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা ১৬ মার্চ শেষবারের মতো বর্ধিত করা হলো। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক পূর্বের সিরিয়াল বহাল রেখে ৪৫ হাজার ৬০৫ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক পূর্বের সিরিয়াল বহাল রেখে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ১৯০ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না।

নিবন্ধন ভাউচার প্রস্তুতের পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে অর্থ ব্যাংকে জমা দিয়ে নিবন্ধন নিশ্চিত না করলে ওই ভাউচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। আগামী ১৬ মার্চে হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব ব্যাংককে অফিস সময়ের পরেও প্রস্তুতকৃত ভাউচারগুলোর অর্থ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের শাখাসমূহ খোলা রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন। চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে