শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১৬৭ বছরের পুরনো ক্রেডিট সুইস ব্যাংক বন্ধ হওয়ার পথে

যাযাদি ডেস্ক
  ২০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

ব্যাংক খাতের এই অস্থিরতার ধাক্কা এবার লেগেছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডে। দেশটির অন্যতম বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট সুইস ব্যাংক এখন বন্ধ হওয়ার পথে রয়েছে। ১৬৭ বছরের পুরনো এই ব্যাংকটিকে এখন বাঁচাতে চলছে সর্বোচ্চ চেষ্টা। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র এক সপ্তাহ আগে বন্ধ হয়ে যায় সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার নামের দুটি ব্যাংক।

এদিকে, সুইজারল্যান্ডেরই আরেক ব্যাংক ইউবিএস এজি ক্রেডিট সুইস ব্যাংকটির মালিকানা কিনে নেওয়ার জন্য আলোচনা করছে। তবে ক্রেডিট সুইস অধিগ্রহণে সরকারের কাছে ছয় বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে ইউবিএস এজি। খবর রয়টার্সের।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন আলোচনায় অনেক জটিল বিষয় মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আরেকটি বড় শঙ্কার বিষয় হলো- যদি এ দুটি ব্যাংককে এক করা হয়, তাহলে চাকরি হারাতে পারেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

এর আগে, গত সপ্তাহে ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দরপতন হয়। এতে ব্যাংকটি চার ভাগের এক ভাগ সম্পত্তি কমে যায়। শেয়ারের দরপতন ও অন্যান্য কেলেঙ্কারির কারণে গ্রাহকদের আস্থা হারায় ব্যাংকটি। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দারস্থ হয় এটি।

ক্রেডিট সুইস ব্যাংক অধিগ্রহণ করার আগে আরেকটি নিশ্চয়তা চাইছে ইউবিএস এজি- সেটি হলো ক্রেডিট সুইস বন্ধ করার ও আইনি খরচ তাদের দিতে হবে। তবে এসব ব্যাপারে ক্রেডিট সুইস, ইউবিএস জি এবং

সুইজারল্যান্ডের সরকার কোনো মন্তব্য করেনি।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক দুটির পর যখন ক্রেডিট সুইসে আঘাত আসে তখন সেটি বাঁচাতে এগিয়ে আসে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্থিতিশীলতা আনয়নে তারা এই ব্যাংকটিকে কয়েক বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এ ছাড়া ক্রেডিট সুইস ব্যাংক অধিগ্রহণের জন্য ইউবিএস এজিকে চাপ দেওয়া হয়। এ বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুইজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে সুইজার?ল্যান্ডে ক্রেডিট সুইসের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাবে।

সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, দ্রম্নত সময়ের মধ্যে ওই দুই ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করতে কাজ চলছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বস্নুমবার্গ জানিয়েছে, ক্রেডিট সুইসকে পতনের হাত থেকে বাঁচাতে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্রও।

এদিকে ক্রেডিট সুইস বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী একটি ব্যাংক। এটিকে বিশ্বের ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকের একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কোনোভাবে ব্যাংকটিতে ধস নামলে এটি পুরো আর্থিক ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে