বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রয়লার মুরগিতে 'স্বস্তি' টেকেনি পাঁচ দিনও

সবকিছুর দামই বাড়তি, সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে নেই। চারটি বড় কোম্পানি দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর যে মুরগির দর কেজিপ্রতি দুইশ টাকার নিচে নেমে এসেছিল, তা আবার দিয়েছে লাফ। পাঁচ দিন আগে রাজধানীর দুটি বড় পাইকারি বাজারে ১৯০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে। রাজধানীসহ দেশের পাঁচ বিভাগের নিত্যপণ্যের বাজারদর নিয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
যাযাদি রিপোর্ট
  ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
ব্রয়লার মুরগিতে 'স্বস্তি' টেকেনি পাঁচ দিনও

এবার রমজানের শুরু থেকেই চড়া মাংসসহ সব ধরনের সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম কমলেও উত্তাপ বিরাজ করছে সবজির দামে। রাজধানীর বাজারে বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। তবে ডিমের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি জানিয়েছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে আগের দামেই বিক্রি হয়েছে ছোলাসহ অন্যান্য মুদি পণ্য।

শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা, সোনালি ৩৫০ টাকা এবং লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৩০ টাকা দরে। সপ্তাহ ব্যবধানে এসব মুরগির কেজিতে কমেছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। তবে গত বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছিল ২০০ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে একদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা। এদিকে বাজারে কমতির দিকে রয়েছে ডিমের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রায় ২৫ টাকা কমে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা দরে।

তবে রমজানের বাজারে ক্রেতা অস্বস্তি অব্যাহত রয়েছে সবজির দামে। এদিনও রাজধানীর বাজারে ৭০ টাকার উপরে বিক্রি হয়েছে বেশিরভাগ সবজি। এছাড়াও ১শ' টাকার উপরে বিক্রি হয়েছে করলস্না, বরবটি, সজনে ও দুনদুলের কেজি। পটল বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়, সিম ৬০ টাকা, বেগুন ৯০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, শসা ৬০-৯০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, ছোট ফুলকপির পিস ৬০ টাকা, আকার ভেদে লাউয়ের পিস বিক্রি হয়েছে ৬০-১০০ টাকা এবং কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা দরে।

ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম কমায় ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছে। তারা বলেন, ডিম ও মুরগির দাম এখনও অনেকটাই বাড়তি। তবে রমজানের শুরুতে যে অবস্থা ছিল তার থেকে কিছুটা হলেও কমেছে। তবে সবজির দাম না কমায় ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা।

এদিকে আমদানি পণ্যে যেমন আদা-রসুন, ভোজ্যতেল, আটা-ময়দা, মসুর ডাল, ছোলা ও বেসন ও চিনির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা, বড় রসুন প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার ১৭৮ টাকা, মসুর ডাল (বড়) প্রতি কেজি ১২০ টাকা, ছোলা ৮৫-৯০ টাকা, আটা প্রতি কেজি ৫৮ টাকা, বেসন ৭০-৭৫ টাকা ও চিনির কেজি বিক্রি হয়েছে ১১২-১১৫ টাকা দরে।

যথারীতি রমজানেও অপরিবর্তিত রয়েছে রাজধানীর মাছের বাজার। বাজার ও আকারভেদে রুই মাছে কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৭০-৫০০ টাকা, কাতল মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫০-৪৫০ টাকা; পাবদা ও শিং মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, বায়লা ও আইরের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৪০০-৭০০ টাকা দরে। অন্যদিকে ট্যাংরা মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা, শোল মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭৫০-১০০০ টাকায়। চাষকৃত কই মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ২৮০; পাঙ্গাস বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা এবং গলদা চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৬০০-৭০০ টাকা দরে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে