শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্যোগ নিন

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে এই প্রক্রিয়ায় কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে সেই বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, '২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হবে। এখন থেকে এ নিয়ে কাজ করতে হবে। সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্যোগ নিতে হবে।' সেই সঙ্গে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে অল্প টাকা দিলে কাজ শেষ হবে সেসব প্রকল্প দ্রম্নত বরাদ্দ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'একনেক সভায় মিসরে চ্যান্সারি হাউজ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রবাসীদের সেবাদানের জন্য বুথ ও অপেক্ষার জায়গা রাখতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশের সব জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ কমপেস্নক্স নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ দ্রম্নত শেষ করার পাশাপাশি সেখানে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁত বোর্ডের নতুন কমপেস্নক্সে নারীদের প্রশিক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে কুড়িগ্রামের সব উপজেলার নদীভাঙন রোধ, রাস্তাঘাট নির্মাণে ভাঙনের ঝুঁকি মাথায়

রেখে কাজ করতে হবে।

১১টি প্রকল্প অনুমোদন

এ দিন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- মিসরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপেস্নক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত), কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট- সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী বর্ডার (এন-০৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ), বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারগুলোর সক্ষমতা এবং মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম পর্যায়), ইমপ্রম্নভমেন্ট অব ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারিস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্প, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পলস্নী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ইউনিয়ন পরিষদ কমপেস্নক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়), প্রোমোটিং রিসিলিয়েন্স ফর ভালনারেবল থ্রো অ্যাসেস টু ইনফ্রাসট্রাকচার, ইমপ্রম্নভড স্কিলস অ্যান্ড ইনফরমেশন (প্রভাতি) (প্রথম সংশোধিত), ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ (প্রথম সংশোধিত), বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কমপেস্নক্স স্থাপন, মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপেস্নক্স, আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (প্রথম পর্যায়)-তৃতীয় সংশোধিত প্রকল্প।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে