মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
মিয়ানমারে সংঘাত

গোলাগুলি-বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
গোলাগুলি-বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত

কয়েক দিন শান্ত থাকার পর শুক্রবার সকাল থেকে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিয়ানমারের সীমান্ত। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং, ঝিমংখালী, খারাংখালীর হ্নীলা ইউনিয়ন, সাবারাং ইউনিয়ন এলাকায় ওপারে মিয়ানমারের ভেতর এদিন সকাল থেকে মুহুর্মুহু গুলির আওয়াজ ভেসে আসছে। নিয়মিত বিরতিতে শোনা যাচ্ছে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র আতংক বিরাজ করছে।

টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, কিছুদিন বন্ধ থাকার পর রাখাইনে নতুন করে গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। শুক্রবার সকাল থেকেও মর্টারশেল, গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার সীমান্তের বাসিন্দা আমান উলস্নাহ বলেন, সকালে তিনি বাড়ির উঠানে বসেছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ শোনে ভয় পেয়ে বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়েন। বিস্ফোরণের শব্দে মাটি কেঁপে ওঠে। পরে বুঝতে পারেন মিয়ানমারে বিস্ফোরণ হয়েছে।

উপজেলার খারাংখালীর সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা মো. সাদেক জানান, 'বিকট শব্দে বাড়িতে থাকাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব সময় ভয়ে থাকি কখন মর্টারশেল বাড়িতে এসে পড়ে।'

টেকনাফের হ্নীলার বাসিন্দা নবী আলম লবণ মাঠে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেন, সকাল থেকে যেভাবে বিস্ফোরণ হচ্ছে তাতে এলাকার লোকজন খুবই আতংকে। তিনিসহ স্থানীয় শ্রমিকেরা কেউ লবণ মাঠে কাজ করতে যেতে পারেননি।

হোয়াইক্যংয়ের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শাহ জালাল বলেন, 'সীমান্তের ওপারে সংঘাত কিছুদিন কমেছিল। কয়েক দিন পরে আবারও শুরু হয়েছে।'

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, মিয়ানমারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ এখন প্রতিদিনই হচ্ছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের তাই সব সময় আতংকে থাকতে হয়।

হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্বদিকে মিয়ানমারের বলিবাজার, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামে সংঘাতময় পরিস্থিতির খবর পেয়ে এপারে টেকনাফের হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদীতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে।

টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে