শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

যাযাদি ডেস্ক
  ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক নৌপথে দেশে ফিরেছেন। বুধবার দুপুর ১-২০ মিনিটের দিকে তারা কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে এসে পৌঁছে।

গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর 'নেভাল শিপ চিন ডুইন' জাহাজ থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এসব বাংলাদেশিদের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে নিয়ে আসেন।

কর্মকর্তারা জানান, মিয়ানমার ফেরত এই ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙামাটি জেলার, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী

জেলার একজন করে রয়েছেন।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানান, ফেরত আসাদের বিজিবি গ্রহণ করে পুলিশকে হস্তান্তর করে। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা অগ্রবর্তী মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি একটি বিশেষ ট্রলারে কক্সবাজারে পৌঁছে।

দলটি কক্সবাজার পৌঁছার পরপরই ঘাট থেকে গাড়ি নিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় রওয়ানা হন। যেখানে বিজিবির অধীনে রয়েছেন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য।

তাদের ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়ার জন্যই প্রতিনিধিদলটি নাইক্ষ্যংছড়ি যান। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আশ্রয়রত সেনা ও বিজিপি সদস্যদের নিয়ে মিয়ানমারের ফেরত যাবে দলটি।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি ও সেনাসদস্যদের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, ৩০ মার্চ ৩ জন এবং ১ মার্চ ১৭৭ জন পালিয়ে এসেছিলেন।

এরও আগে ফেব্রম্নয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রম্নয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ এবং সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না।

তবে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাসদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে