বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

সাকিব আল হাসানকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

যাযাদি রিপোর্ট
  ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সাকিব আল হাসানকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা
সাকিব আল হাসানকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

চেক প্রতারণার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন। সাকিব ছাড়াও তার অ্যাগ্রো ফার্মের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী আইএফআইসি ব্যাংকের লোন পারফমেন্স ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের কর্মকর্তা সাহিবুর রহমান।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, চেক প্রতারণার অভিযোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আইএফআইসি ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাহিবুর রহমান। আদালত সেদিন সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ঠিক করা হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি।

1

তবে রোববার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম। কিন্তু সাকিব আল হাসান ও অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী শাহাগীর হোসাইন আদালতে হাজির হননি। এদিন বাদীপক্ষ থেকে সাকিব আল হাসান ও গাজী শাহাগীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৬

জারির আবেদন করা হয়। আদালত পরে সাকিব আল হাসান ও গাজী শাহাগীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

মামলার বাদী সাহিবুর রহমানের ভাষ্য, 'সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম ঋণের বিপরীতে দুটি চেক দিয়েছিল। ঋণ শোধ না করায় আমরা টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে দেখি অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই।

তখন নোটিস দেওয়া হয়। তারা কোনো জবাব না দেওয়ায় আমরা আদালতে চেক ডিজঅনারের মামলা করি।'

সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের কার্যক্রম মূলত সাতক্ষীরায়। সাকিব এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মামলায় বলা হয়, সাকিবের মালিকানাধীন ওই অ্যাগ্রো ফার্ম ২০১৭ সালে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে এক কোটি এবং টার্ম লোন হিসেবে দেড় কোটি টাকা আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ নেয়। এর মধ্যে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে নেওয়া টাকা সময়মত পরিশোধ না করায় ব্যাংক ওই টাকা মেয়াদি ঋণে পরিবর্তন করে।

টাকা ফেরত চেয়ে কয়েক দফা নোটিস দেওয়ার পর সাকিবের কোম্পানি চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংককে চার কোটি ১৪ লাখ টাকার দুটি চেক দেয়। কিন্তু অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট টাকা না থাকায় চেক 'বাউন্স' করে।

পরে ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানি শাখা নেগোশিয়েবল ইন্সট্রম্নমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিস পাঠান। নোটিস পাঠানোর পর ৩০ দিন পার হলেও সাড়া না পেয়ে আদালতে এই মামলা করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে সাকিব বা তার কোম্পানির কারও বক্তব্য জানা যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে