নাটোরের লালপুর উপজেলায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির নেতাসহ তার দুই ছেলেকে আটকের প্রতিবাদে থানার সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কর্মী-সমর্থকেরা। শনিবার দুপুরে লালপুর থানার সামনে বিক্ষোভ ও মহাসড়কে অবরোধের এ ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- লালপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খোকন খাঁ, তার দুই ছেলে ছাত্রদল কর্মী অনিক খাঁ ও ফিরোজ খাঁ। শুক্রবার রাতে উপজেলার লালপুর কলোনিপাড়া থেকে তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, শনিবার সকাল আটটার দিকে বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা তাদের মুক্তির দাবিতে লালপুর থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে বেঞ্চ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করা। কিছুক্ষণ পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা। পরে বেলা একটার দিকে পুলিশ তাদের ছেড়ে না দিলে বিক্ষোভকারীরা আবার ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা ও লালপুর-নাটোর সড়ক অবরোধ করেন। এতে দুটি সড়কে শত শত যানবাহন আটকে যায় এবং চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।
বেলা একটার দিকে পুলিশ আটক তিনজনকে ছেড়ে না দিলে বিক্ষোভকারীরা আবার ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা ও লালপুর-নাটোর সড়ক অবরোধ করেন
বেলা একটার দিকে পুলিশ আটক তিনজনকে ছেড়ে না দিলে বিক্ষোভকারীরা আবার ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা ও লালপুর-নাটোর সড়ক অবরোধ করেনছবি: প্রথম আলো
বিকেল পাঁচটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও সড়কদুটিতে বিক্ষোভ চলছিল। তবে তখন এক পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান রাজু বলেন, গতকাল রাতে চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনী তিনজনকে আটকের পর থানায় হস্তান্তর করে। সকালে তাঁদের মুক্তির দাবিতে সমর্থকেরা থানার সামনে এসে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিলে ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা। পরে তাঁরা আবার অবরোধ করেন। আটক ব্যক্তিদের জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।