প্রেগন্যান্সি ডায়াবেটিস বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বিশেষ এক ধরনের ডায়াবেটিস যেটি কিনা কেবল প্রেগন্যান্সিতেই হয়ে থাকে। হরমোনের লেভেল ও নতুন শারীরিক পরিবর্তনের কারণে মায়ের শরীর সঠিক পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি করে। এটি শরীরকে রক্তের গস্নুকোজের লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যখন শরীর ব্যথা হয় তখন রক্তে গস্নুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। যাকে ডাক্তারী পরিভাষায় বলে এবংঃধঃরড়হধষ উরধনবঃবং গধঁৎরঃরঁং.
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কেন হয়?
গর্ভাবস্থায় ইনসুলিনের উৎপাদন হ্রাস অথবা ইনসুলিনের প্রতিরোধের কারণে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হতে পারে।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের উচ্চ ঝুঁকিতে কারা
১. কারো প্রি-ডায়াবেটিস থাকলে।
২. আগের প্রেগন্যান্সিতে ডায়াবেটিস থাকলে।
৩. নিকট আত্মীয় বা বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে।
৪. পলিসিস্টিক ওভার সিন্ড্রোম থাকলে।
৫. অতিরিক্ত ওজন হলে (ইগও > ৩০.)
৬. ৩০ বছর বা তার বেশি হলে
৭. ইতোমধ্যে ৪ কেজি বা ৯ পাউন্ডের বেশি বাচ্চা জন্ম দিলে।
কীভাবে ডায়াগনোসিস করব
একটি মাত্র টেস্ট দিয়েই এটি ডায়গনোসিস করা যায়। সেটি হলে ঙএএঞ (ঙৎধষ) মষঁপড়ংব :ড়ষবৎধহপব :বংঃ) এই টেস্টে রোগী একবার খালি পেটে রক্ত দেবে এবং পরবর্তী সময়ে ৭৫ মস মষঁপড়ংব খেয়ে ২ ঘণ্টা পর আবার রক্ত দেবে।
কখন আমরা ডায়াবেটিস বলব
যখন- ঋধংঃরহম (খালি পেটে) ৯২ সম/ ফষ (৫.১ সসড়ষ/২)
১. ১ চা/১ ঘণ্টা পর-১৮০ সম/ফষ (১০.০০ সসড়ষ/খ)
২. ২ চা/২ ঘণ্টা পর-১৫৩ সম/ফষ (০৮.০৫ সসড়ষ/খ) (অউঅ, ২০২০)
চিকিৎসা
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (এউগ)কে সাধারণত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবস্থায় বলা হয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো, খাদ্যভাস নিয়ন্ত্রণ, ক্যালরি নির্ধারণ ও ইনসুলিন গ্রহণের মাধ্যমে এই ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব।
গঘঞ (সবফরপধষ হঁঃৎরঃরড়হ :যবৎধঢ়ু)-এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস মেনে চললে অনেক ক্ষেত্রেই ইনসুলিন ছাড়াই রক্তের গস্নুকোজ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
টার্গেট বস্নাড সুগার
খালিপেটে রক্তের গস্নুকোজ (ঋসং)-৫৩ সসড়ষ/ ২ (<৯৫ সম /ফষ) ২ ঘণ্টা পর-৬-৭ সসড়ষ /২ (<৯৫ সম /ফষ) যদি খাদ্যভাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। বস্নাড সুগার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ মতো আমরা ইনসুলিন থেরাপি শুরু করতে পারি।গাইনি বিশেষজ্ঞ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা
চেম্বার : আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-পলস্নবী শাখা
হটলাইন: ১০৬৭২