তথ্যপ্রযুক্তির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। মানসম্মত বেতন, গুগল-মাইক্রোসফটসহ বিশ্বের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ সর্বোপরি ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রতি মুগ্ধতা- এমন বিষয়গুলোই কম্পিউটার সায়েন্সকে দিন দিন আগ্রহের শীর্ষ নিয়ে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, প্রযুক্তিতে একুশ শতাব্দীর যুগান্তকারী পরিবর্তন বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। যাতে হাওয়া দিয়েছে করোনাকাল। সুতরাং প্রযুক্তি ছাড়া জীবনে উন্নতির সম্ভাবনা কম। মূলত এই চিন্তাচেতনার প্রেক্ষাপটেই গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ মানসম্মত উপায়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
কেন সিএসই, কেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি: অনেকেই মনে করে থাকেন, কম্পিউটার সায়েন্স মানেই প্রোগ্রামিংয়ের খেলা। কিন্তু বিষয়টি আদৌতে তা নয়। সিলেবাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রথম বছর বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং যেমন সি, সি পস্নাস পস্নাস; দ্বিতীয় বছর- ডেটা স্ট্রাকচার, অবজেক্ট ওরিয়েন্ডেটে প্রোগ্রামিং, অ্যালগরিদম; তৃতীয় বছর- অপারেটিং সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, হার্ডওয়্যার, মাইক্রো কন্ট্রোলার, কম্পিউটার ইন্টারফেসিং ইত্যাদি; চতুর্থ বছর- মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ জনপ্রিয় বিভিন্ন টপিক। অর্থাৎ চার বছর ধরে একজন শিক্ষার্থীকে কম্পিউটারের যাবতীয় খুঁটিনাটি জানানোই এই সাবজেক্টের মূল উদ্দেশ্য। যেখানে একজন শিক্ষার্থী পুরো কম্পিউটার ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসই কেন 'বেস্ট অপশন' ভর্তি হওযার আগে সেই বিষয়টা জানা দরকার? বাংলাদেশে যতগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সিএসই' বিভাগ; ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) স্বীকৃতির আওতাভুক্ত এর মধ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অন্যতম। অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী, মানসম্মত ল্যাব, লাইব্রেরি ও শ্রেণিকক্ষ পরিচালনার স্বীকৃতিস্বরূপ আইইবি কর্তৃক অ্যাক্রেডিটেশন পেয়েছে এখান কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ। সম্মানজনক এই সনদ অর্জন করায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সিএসই স্নাতকধারীরা পেশাদার প্রকৌশলী হিসেবে স্বীকৃতির জন্য 'আইইবি'তে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বা চাকরির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচিত হবেন তারা। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর মো. সাইফুল আজাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগ। ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভাগটির চেয়ারপারসন পদে রয়েছেন তিনি। ডক্টর সাইফুল আজাদ বলেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে আধুনিক ও মানসম্মত সব সুযোগ-সুবিধাই রয়েছে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতেও গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসইর অবস্থান সুদৃঢ়। বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত এ বিভাগে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ (বুয়েট, ঢাবি) ছাড়াও ইউরোপ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীর (পূর্ণকালীন) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। গড়ে তোলা হয়েছে ওয়াইফাইসমৃদ্ধ ক্যাম্পাস, কম্পিউটার ব্যবহারের অবাধ সুযোগ এবং মাল্টিমিডিয়া ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম। সিএসই বিভাগের বৈশিষ্ট্য: গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে আন্তর্জাতিকমানের ক্লাসরুম; উন্নত এবং পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সজ্জিত এনালগ ও ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্স ল্যাব; কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ল্যাব; মাইক্রোপ্রসেসর ল্যাব; মাইক্রোকন্ট্রোলার ল্যাব; সফ্টওয়্যার শিক্ষার নিমিত্তে সর্বশেষ মডেল/কনফিগারেসন সমৃদ্ধ কম্পিউটার; উইন্ডোজ নির্ভর ও-লিনাক্র/ইউনিক্র ভিত্তিক ল্যাব; ব্রডব্যান্ড ও ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা-যা প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জন্যই উন্মুক্ত। চতুর্থ শিল্প চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গত চার বছর ধরে 'সাসটেইনেবল টেকনোলোজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৪.০' সম্মেলন করে আসছে সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ; যেখানে সিএসই বিভাগের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ থাকে। দেশি-বিদেশি প্রতিথযশা ও খ্যাতিমান বিজ্ঞানী এবং ইন্ডাস্ট্রি প্রফেশনালদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের মতবিনিময় ও প্রফেশনাল রিলেশনশিপ তৈরির ক্ষেত্র হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে এই সম্মেলন। আর সর্বশেষ ২০২৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি) এশিয়াধীন ঢাকা অঞ্চল পর্বের প্রতিযোগিতা। যেখানে ১২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৪৮টি টিমের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও প্রোগ্রামিং কনটেস্টসহ কম্পিউটার ও প্রযুক্তি নিয়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠান-সম্মেলন করে থাকে গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগ।
কাজের সুযোগ: কম্পিউটার বিজ্ঞান একজন শিক্ষার্থীর সামনে অনেক ধরনের রাস্তা খুলে দেয়। কেউ যদি চাকরি করতে চায়, সেই সুযোগ আছে এবং বাড়ছে। কেউ যদি স্বতন্ত্রভাবে কাজের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হতে চায়, তা-ও সে করতে পারে। আবার কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণারও সুযোগ আছে অনেক। বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য যায় তাদের একটা বড় অংশই কিন্তু কম্পিউটার বিজ্ঞানের স্নাতক। এছাড়া অপারেটিং সিস্টেম, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড মোবাইল কম্পিউটিং, নিউরাল কম্পিউটার বিষয়গুলো ডেভেলপ করা নিয়ে কাজ করতে পারেন। দক্ষতা এবং জ্ঞান যখন পরিপূর্ণতা পাবে তখন নিজে থেকে নতুন কিছু করতে পারবেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডেটা ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, আইটি অফিসার, ওয়েব ডেভেলপার, প্রোগ্রামার, নেটওয়ার্কিংসহ নানা বিষয় নিয়ে কাজের সুযোগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিভিন্ন ব্যাংকেও আইটি অফিসার হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে।
অনলাইনে কাজের সুযোগ: অনলাইনভিত্তিক কাজের মাধ্যমে ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের অনেক দেশই অন্য দেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করিয়ে থাকে। বাংলাদেশে আউটসোর্সিংভিত্তিক বিভিন্ন কাজের পরিধি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পাশাপাশি এ খাতে বিপুলসংখ্যক তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ভর্তিসহ অন্যান্য তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন- ২২০/ডি, বেগম রোকেয়া সরণি, ঢাকা-১২০৭। ম সংবাদ বিজ্ঞপ্তি