সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মজুরির পাওনা টাকার জন্য বিচার চাওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামে।
গুরুতর আহত বন্দর উলস্নার ছেলে আলতাফ মিয়া (৬০), মাফিজ উদ্দীনের স্ত্রী হাসনা বেগম (৫০), মফিজ উদ্দীনের ছেলে আক্তার মিয়াকে (৩০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরেক আহত আলতাফ মিয়ার ছেলে স্কুলছাত্র আশরাফুল মিয়া (১৭), নাসির মিয়া (১৩), আফিজ উদ্দীনের ছেলে আমরান হোসেন (১৮) ও মাফিজ উদ্দিনের ছেলে বদরুল মিয়াকে (১৯) নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, কুর্শি গ্রামের মৃত কৈছর উলস্নার ছেলে মনর আলী ও তার ভাই কালা মিয়ার জমিতে ঘটনার কিছুদিন আগে অর্থের বিনিময়ে ধান রোপণের কাজ করেন দিনমজুর আলতাফ মিয়া ও আক্তার মিয়া। এই মজুরির টাকা নিয়ে তারা নানা টালবাহানা শুরু করেন। এ নিয়ে স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে বিচার দেন দিনমজুর আলতাব ও আক্তার। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে প্রতিপক্ষরা।
গত ২২ আগস্ট পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন দিনমজুর আলতাফ মিয়া ও আক্তার মিয়ার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের বাঁচাতে এগিয়ে এলে অন্য নারী-পুরুষও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় আহত আলতাফ মিয়ার ভাই মাফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে কুর্শি গ্রামের মৃত হুঁশিয়ার উলস্নার ছেলে ইরান মিয়া ও তার ছেলে সেলু মিয়া, মৃত কৈছর উলস্নার ছেলে মনর আলী, সুন্দর আলী, কালা মিয়া, ইরান মিয়ার ছেলে সোহাগ, শোয়েব ও মৃত হুঁশিয়ার উলস্নার ছেলে মাজ উদ্দীনসহ ৮ জনের নাম উলেস্নখ করে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৫) আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসিকে ব্যবস্থা দিতে নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বলেন, এখনো এই আদেশ পৌঁছায়নি। আদেশ পাওয়া মাত্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।
Google News ফিড অনসরণ করুন
