ঐতিহ্যবাহী বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরি পুনরায় চালুর দাবিতে 'উন্মুক্ত বই পাঠের আসর' কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বরিশাল সচেতন নাগরিকের ব্যানারে গত রোববার নগরীর বিবির পুকুর পাড়ে এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা আগামী ২১ ফেব্রম্নয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নিজস্ব ভবনে লাইব্রেরিটি পাঠকের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানান। পরে বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরি অ্যাডহক কমিটির সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত স্মারকলিপি দেন।
'উন্মুক্ত বই পাঠের আসর' কর্মসূচিতে উপস্থিত সমাজসেবক নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি এই পাবলিক লাইব্রেরিতে নিয়মিত আসতেন। লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীদের ভিড়ে গমগম করত লাইব্রোরটি। এটি স্থানান্তর করা গণবিরোধী কাজ। সবুজ আন্দোলনের সংগঠক কাজী মিজানুর রহমান ফিরোজ বলেন, লাইব্রেরির সাধারণ সদস্য হিসেবে বই পড়ার জায়গা না থাকায় প্রতিবাদ জানিয়ে তারা লাইব্রেরির পেছনে বিবির পুকুরের পাড়ে উন্মুক্ত স্থানে বই পড়েছেন। তাদের দাবি, বিবির পুকুর পাড়ের পাবলিক লাইব্রেরি আগামী ২১ ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক।
বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরি অ্যাডহক কমিটির সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ উপকমিটির সদস্য কাজী এনায়েত হেসেন শিবলু বলেন, ১৮৫৪ সালে নিজস্ব সম্পত্তিতে এই পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৫ সালে একটি গোষ্ঠী দুরভিসন্ধিমূলকভাবে লাইব্রেরিটি বান্দরোডে স্থানাস্তর করে। কিন্তু সেখানে কেউ বই পড়তে যান না। লাইব্রেরির প্রায় ৩০ হাজার বই সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ নিজস্ব সম্পত্তি লাইব্রেরির সভাপতি জেলা প্রশাসক দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া দিয়ে আসছেন। তাদের দাবি, পাবলিক লাইব্রেরির মূল ঠিকানায় এটিকে আবার চালু করতে হবে।
পরে পাবলিক লাইব্রেরির সদস্যরা বরিশাল জেলা প্রশাসক ও পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি শহীদুল ইসলামের কাছে লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করে লাইব্রেরিটি অনতিবিলম্বে চালুর দাবি জানান। এ সময় সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম মনি, সমাজসেবক আমিনুল ইসলাম খান বুলবুল, অধ্যক্ষ মোতালেব হাওলাদার, দেওয়ান ফখরুল আলম, নজরুল ইসলাম, এ কে আজাদ, অঞ্জলী রানী, মোস্তাফিজুর রহমান, কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু উপস্থিত ছিলেন।